করোনা সংকটে বলপূর্বক মজুরি আদায় নিয়ে কী জানালেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি
করোনা পরিস্থিতিতে চরম সংকটে রয়েছে দেশ। অনেকের কাজ চলে গিয়েছে। অনেকে ঠিক মতো বেতন পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতি ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছে। এই সময় বলপূর্বক মজুরি আদায় চলছে একাধিক জায়গায়। সেক্ষেত্রে কী করা উচিত বিস্তারিত জানালেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতিভা সিং।

করোনা সংকট দেশে
করোনা সংকটে চরম আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে একাধিক সংস্থার। এই নিয়ে বাড়িওয়ালা ভাড়টে সংকট তৈরি হয়েছে। লকডাউনের সংকটের কারণে একাধিক ব্যবসায়ী ভাড়া দিতে পারছেন না। এই নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বলপূর্বক মজুরি আদায়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির পরামর্শ
করোনা পরিস্থিতিতে বলপূর্বক মজুরি আদায় নিয়ে বিশেষ আলোকপাত করেছেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতিভা সিং। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এবং গার্হস্থ বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রেও এই নিয়ে সমস্যা বাড়ছে। এই ফোর্স মজুরি বিষয়টি আইনে প্রয়োগ হয় বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে। বন্যা, যুদ্ধের মত পরিস্থিতির ক্ষেত্রেই এগুলি হয়ে থাকে।

কী করবেন মানুষ
হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতিভা সিং জানিয়েছেন, এই সময় শান্ত হয়ে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ে ভাবা উচিত। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে বাড়িওয়ালা এবং ভাড়ােটর উচিত শান্ত হয়ে বসে আলোচনা করা। কোনও একটা সমাধান সূত্র বের করা। তবে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এই সময় বলপূর্বক মজুরি আদায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানিয়েছেন শপিং মল গুলিতে অনেক দোকানিই লিজে দোকান ভাড়া নেন। সেক্ষেত্রে বলপূর্ব মজুরি বা ফোর্স মজুরির বিষয়টি নিয়ে যে চুক্তি রয়েছে সেটি নিয়ে আলোচনা করা উচিত। যদি চুক্তিতে ফোর্স মজুরির কোনও প্রসঙ্গ না থাকে তাহলে কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে। আর চুক্তি মৌখিক হলে কিছু করার থাকে না। তবে দখলদারি করার চেষ্টা হলে ভাড়ার টাকা দিতেই হবে।

বারবার ভাড়া না দিয়ে থাকা যাবে না
বিচারপতি জািনয়েছেন যদি চুক্তিতে কাগজে কলমে চুক্তি বদ্ধ হয় ভাড়টে এবং বাড়ির মালিক তাহলে নির্দিষ্ট সময়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে বাড়ির মালিককে। তবে ভাড়াটে বার বার ভাড়া দিতে অস্বীকার করতে পারেন না। তখনই ফোর্স মজুরি বা বলপূর্বক মজুরি আদায়ের আইন লাঘু হতে পারে। এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি।