ঘূর্ণিঝড় অশনিতে বাংলায় ক্ষতির সম্ভাবনা কতটা? কোন পথে এগোচ্ছে, কোথায় আছড়ে পড়বে, একনজরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস
পশ্চিমবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে প্রবেশ করায় অস্বস্তির আবহাওয়া (Weather) বাড়বে। অন্যদিকে, নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি (Low pressure) উত্তর
পশ্চিমবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে প্রবেশ করায় অস্বস্তির আবহাওয়া (Weather) বাড়বে। অন্যদিকে, নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি (Low pressure) উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে এবং ২১ মার্চ নাগাদ ঘূর্ণিঝড় অশনিতে (Cyclone Asani) পরিণত হবে বলে মনে করছেন আবহ বিজ্ঞানীররা।
৫ দিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
এদিন বিকেলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে আগামী ৫ দিন উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রারও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ বর্তমানে দিনে ও রাতে যে তাপমাত্রা রয়েছে, তাই আগামী কয়েকদিন বজায় থাকবে।
আন্দামান নিকোবরে গা ঘেঁসে অগ্রসর হবে
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর অ়ঞ্চলে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। নিম্নচাপের মুখ উত্তর-পূর্ব দিকে। ফলে সেটি পৌঁছবে আন্দামান সাগরের কাছাকাছি। ১৯ নার্চ নাগাদ সেটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২০ মার্চ নাগাদ তা আরও ঘনীভূত হয়ে, গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর অভিমুখ হবে সোজা উত্তর দিকে অর্থাৎ তা ওপরের দিকে অগ্রসর হবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের গা ঘেঁষে।
২১ মার্চ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ২১ মার্চ নাগাদ এটির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরে তা উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। যাবে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। কোনওভাবেই তা পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশা উপকূলের দিকে আসবে না। হয় মিয়ানমার কিংবা মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিক। ২২ মার্চ সকালের দিকে সেটি বাংলাদেশ এবং উত্তর মিয়ানমার উপকূলের কাছে গিয়ে পৌঁছবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
সমুদ্র অশান্ত হবে, বাড়বে বৃষ্টি
নিম্নচাপ ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই সময়ের মধ্যে একদিকে যেমন সমুদ্র অশান্ত হবে অন্যদিকে বৃষ্টিও বাড়বে। যার জেরে ১৭-২১ মার্চের মধ্যে আন্দামান নিকোবর এলাকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। ১৮ মার্চ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত দিয়ে শুরু হলেও ওইদিনই আন্দামান নিকোবরের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ১৯, ২০ এূং ২১ মার্চেও আন্দামান-নিকোবরের বেশিরভাগ জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২২ মার্চ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকবে।
নতুন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম! সিপিএম রাজ্য কমিটি থেকে বাদ সূর্য-বিমান, আসছেন সুশান্ত-শতরূপ