বিজেপি গণতন্ত্রের হত্যাকারী! ফ্লোর টেস্টের আগে হেরে গিয়ে ফুঁসে উঠলেন কমলনাথ
সুপ্রিম নির্দেশে শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে হওয়ার কথা ছিল ফ্লোর টেস্ট। তবে হার নিশ্চিত দেখে আগেভাগেই পদত্যাগের পথে হাঁটেন কমনাথ। আর বিজেপির কাছে এভাবে হেরে গিয়েই ফঁসে উঠলেন কমনাথ। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দলে না ফেরাতে পারার যন্ত্রণা ও হারের দুঃখ ফুঠে ওঠে তাঁর কথায়।

আদালতে জোড়া ধাক্কা খেয়ে আশা শেষ হয় কংগ্রেসের
ফ্লোর টেস্ট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল কংগ্রেস। তবে এই চিত্রটা ছিল বৃহস্পতিবারের সুপ্রিম শুনানির আগ পর্যন্ত। তবে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোটের দিনক্ষণ নিশ্চিত হতেই চিত্রটা পাল্টাতে থাকে। পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের প্রসঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট ও কর্নাটক হাইকোর্টে জোড়া ধাক্কা খায় কংগ্রেস। আর তার সঙ্গেই বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ফেরানোর আশাও শেষ হয়ে যায় তাদের।

বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করছে!
এদিকে ফ্লোর টেস্টের আগেই হার নিশ্চিত জেনে বিজেপিকে তোপ দাগেন কমলনাথ। এরপর তিনি পদত্যাগ করে বলেন, ' রাজনৈতিক হিসাবের খেলায় তিনি কোনও দিনই লিপ্ত ছিলেন না।' পাশাপাশি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, 'বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।'

কী বললেন কমলনাথ?
কমলনাথ বলেন, 'বিজেপি মধ্যপ্রদেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল ১৫ বছর। সেই জায়গা দাঁড়িয়ে আমি মাত্র ১৫ মাস সুযোগ পাই রাজ্যের জন্য কাজ করার। তবে এই ১৫ মাসেই সারা রাজ্য ও গোটা দেশ জানতে পেরে গিয়েছে বিজেপি কিরকম ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে। আমাদের সরকার গঠনের প্রথম দিন থেকেই তারা আমাদের সরকার ফেলতে উদ্যত হয়েছিল।'

বিজেপির সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই!
এরপর কমলনাথ বলেন, 'আমার কারোর সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। আমার কাছে মানুষের সার্টিফিকেট রয়েছে। বিজেপি আমার রাজ্যকে হারাতে পারবে না। আমার ইচ্ছাশক্তিকে হারাতে পারবে না। আমি আমার রাজনীতি অনেক দায়িত্বের সঙ্গে করি। আমি তাই পদত্যাগ করতে যাচ্ছি।'

আত্মসমর্পণের সুর ছিল দিগ্বিজয়ের গলাতেও
এর আগেই অবশ্য বিদায়ের সুর বেজে উঠএছিল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের গলায়। সাংবাদিকদের কাছে কোনও রাগ না করেই এদিন দিগ্বিজয় বলেন, 'এই আস্থা ভোটে কমলনাথের সরকার জিতবে না। তাঁর কাছে সংখ্যা নেই।' এরপর বিজেপিকে তোপ দেগে দিগ্বিজয় সিং বলেন, 'এটা টাকার খেলা। কী ভাবে এক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার সংখ্যালঘু হয়ে গেল তা সবাই দেখেছে।'