আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারি কি যাতে ফাঁসলেন কার্তি চিদাম্বরম
বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্রের বিনিময়ে কার্তির অ্যাকাউন্টে আইএনএক্স-এর তরফে দশ লাখ টাকা ঢুকেছিল।
২০০৮ সালে পিটার-ইন্দ্রাণীর মালিকানাধীন আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থা চারশো কোটি টাকা প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির ব্যাপারে বোর্ডের (ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রোমোশন বোর্ড) ছাড়পত্র পায়। সিবিআইয়ের দাবি, ওই ছাড়পত্রের বিনিময়ে কার্তির অ্যাকাউন্টে আইএনএক্স-এর তরফে দশ লাখ টাকা ঢুকেছিল।
কার্তির সঙ্গে লেনদেনে জড়িত আরও কিছু সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আরও সাড়ে তিন কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এফআইআরে চিদম্বরমের নাম অভিযুক্তের তালিকায় না থাকলেও ছাড়পত্র অনুমোদনের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্ত্রী ইন্দ্রাণীকে সামনে রেখে পিটার মুখার্জী আইএনএক্সের ব্যানারে অনেকগুলি কোম্পানি খোলেন। আইএনএক্স নিউজ প্রাইভেট লিমিটেড, আইএনএক্স মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, আইপিএম ইনকন প্রাইভেট লিমিটেড, আইএনএক্স এক্সিকিউটিভ সার্চ প্রাইভেট লিমিটেড ইত্যাদি।
শিনা খুনে অভিযুক্ত পিটার ও ইন্দ্রাণী খুনের কিছুদিন আগেও কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। এদিকে ২০১২ সালে আইএনএক্সের সমস্ত স্টেক তারা বেচে দিয়েছিলেন।
আইএনএক্স মিডিয়ার মাধ্যমে টাকা একের পর এক ইন্দ্রাণী নামে তৈরি কোম্পানিতে ঋণ হিসাবে দেখিয়েছেন পিটার। ২০০৭ ও ২০০৯ সালে দুটি কোম্পানি ইন্দ্রাণীর নামে খোলা হয় যার ৯৯.৯ শতাংশ শেয়ার ইন্দ্রাণীর নামে ছিল। পিটার তাতে কখনও ১০ কোটি, কখনও ৫০ লক্ষ টাকা করে ঋণ দিয়েছেন।
কোনও সুদ ছাড়াই ঋণ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীদের অভিযোগ, কোনও লেনদেন, ব্যবসা ছাড়াই একে অপরকে ঋণের নামে টাকা দিয়ে তা নয়ছয় করেছেন পিটার-ইন্দ্রাণী। সেই কাজেই করফাঁকি দিতে কার্তিকে জড়ানো হয়।