অযোধ্যা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে ত্রুটি কোথায়, বলল সুপ্রিম কোর্ট
দীর্ঘ দুই দশকের আইনি লড়াইয়ের নিষ্পত্তি ঘটল শনিবার। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল যে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি 'রামললা'র। অর্থাৎ ওই জমিতে তৈরি হবে রাম মন্দির।
দীর্ঘ দুই দশকের আইনি লড়াইয়ের নিষ্পত্তি ঘটল শনিবার। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল যে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি 'রামললা'র। অর্থাৎ ওই জমিতে তৈরি হবে রাম মন্দির। একই সঙ্গে মসজিদ নির্মাণের জন্য বিকল্প ৫ একর জমি নির্ধারণ করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশও দিয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ১০ বছর আগে অযোধ্যা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে কোথায় ভুল ছিল, তাও জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে
নিম্ন আদালতে অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় জল এলাহাবাদ হাইকোর্টে গড়ায়। ২০১০ সালে এক রায়ে ওই হাইকোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমিকে তিনটি অংশে ভাগ করে দেয়। তাতে একটি করে অংশ পায় রামললা, নির্মোহী আখড়া ও ওয়াকফ বোর্ড।
সুপ্রিম কোর্টে তিন পক্ষ
এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা আবেদন করে মামলার তিন পক্ষই। তারা এই মামলার একমুখী রায় দাবি করে।
মামলা শুরু
মামলার শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে আলাদা নয়, সব আবেদনের শুনানি হবে একসঙ্গে। সেই মতো এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে গত অগাস্ট থেকে শুরু হয় অযোধ্যা মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৪০ দিন ধরে মামলার বাদি ও বিবাদি পক্ষের বয়ান শোনার পাশাপাশি তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখে। গত ১৬ অক্টোবর অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করে শীর্ষ আদালত। যা ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে দীর্ঘতম বলে জানানো হয়েছে।
'আইনত অস্থিতিশীল'
শনিবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অযোধ্যার জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে ভুল করেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালতের কথায়, হাইকোর্টে পার্টিশান বা বিভাজন সংক্রান্ত আবেদন জমা পড়েনি। অযোধ্যা বিতর্কের নিষ্পত্তি ঘটাতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রাস্তা নিয়েছে, তা ভুল বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাদের মতে, কোনও ধর্মীয় স্থলকে এভাবে ভাগ করা হলে মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। অযোধ্যা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে 'আইনত অস্থিতিশীল' বলেও আখ্যা দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রাম-রহিমের জয় নয়, এই জয় ভারত-ভক্তির! অযোধ্যা মামলার রায় ব্যাখ্যা মোদীর
অযোধ্যা রায়ে এএসআই এর রিপোর্ট কেন এত গুরুত্ব পেল