অভিনন্দনকে বাঁচাতে রাজনৈতিক ঝুঁকি নিতেও পিছপা হয়নি মোদী সরকার! কতটা কঠিন ছিল 'সিন্ধান্ত নেওয়া'
পাকিস্তানের সাংসদের একটি বক্তব্যই কার্যত অভিনন্দন ইস্যুতে কার্যত পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। আর এদিন অভিনন্দন ইস্যুতে মুখ খুলে কার্যত মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন তৎকালীন ভারতের বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধনোয়া।

রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল
সেই সময় 'নির্বাচন সামনে ছিল, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিকটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে আমাদের নেতৃত্ব সেই বড় ঝুঁকি নিয়েছিল আর তার ফলাফলও সামনে এসেছিল।' এই বক্তব্যের পর বিএস ধনোয়া বলেন, অভিনন্দনকে পাকিস্তানের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনা গিয়েছে, কারণ সেই সময় রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা ছিল। আর তা সফলও হয়।

অভিনন্দনের মুক্তির নেপথ্যে কারা?
অভিনন্দন বর্তমানের মুক্তির নেপথ্যে অন্যতম কার্যকরী ভূমি ছিল রাজনীতী ও ভারতের কূটনীতির। এদিন ভারতের প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তা একথা জানান। তিনি বলেন, ' তবে কেউ যদি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনায় কথা বলেন, তাহলে তাঁকে মাথায় রাখতে হয় দেশের সেনার ক্ষমতা।'
বিএস ধানোয়ার দাবি, ভারতের সেনা কতটা দাপট দেখাতে পারবে, বা সেনার শক্তি কতটা রয়েছে, তা জেনে বুঝেই পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ দিতে পেরেছিল ভারত।

পাকিস্তান ও ভারতীয় বীর যোদ্ধারা
এদিন অভিনন্দন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিএস ধনোয়ার স্মৃতি চারণায় উঠে আসে, শহিদ স্কোয়াড্রন লিডার অজয় আহুজার প্রসঙ্গ। যিনিও ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের সেনার হাতে একইভাবে ধরা পড়েন। তিনি দশের জন্য় শহিদ হন। কার্গিল যুদ্ধে বায়ুসেনার নচিকেতাও ধরা পড়েছিলেন পাকিস্তানের হাতে। তাঁকে কিভাবে দেশে ফেরানো হয়েছিল , সেই প্রসঙ্গ তুলে বিএস ধনোয়া জানান, কতটা কঠিন ছিল অভিনন্দনকে ঘরে ফোরানোর সিদ্ধান্ত।

মোদীর প্রশংসায় ধনোয়া
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করে বি এস ধনোয়া জানান, 'তিনি দেখিয়েছেন নিশ্চিত সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারেন। ' এরপরই ধনোয়া বলেন, রাজনৈতিক সূত্রে নির্দেশ আসার পরই ভারতের সেনা নিজের মতো করে পদক্ষেপ নিতে পেরেছিল সেবার। অভিনন্দনকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য বহু সেনাগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকি সামনে ছিল। তবে শেষমেশ সব পরীক্ষায় পাশ করেছে ভারত।

২০২২-র বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিকে সমর্থন! অখিলেশদের জব্দ করতে শপথ মায়াবতীর