ভারত-চিন সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যের সীমান্ত! কী কারণে বাঁধে দ্বন্দ্ব?
সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল৷ এবার সিকিম সীমান্তের নাকু-লায় ঘটনাটি ঘটেছে৷ কয়েক মাস আগে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল৷ সিকিমের ঘটনায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন জওয়ান আহত বলে খবর৷ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গিয়েছে৷

ভারতের দিকে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল চিনের সেনা
আগেরবারও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে ভারতের দিকে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ৷ এবারও সিকিমের নাকু লায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে৷ তখনই ভারতীয় সেনা বাধা দেয়৷ তার পরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়৷ জানা গিয়েছে যে এই ঘটনায় ভারতীয় সেনা ও পিএলএ দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকজন জওয়ান আহত হয়েছেন৷

ঘটনাটি ২০ জানুয়ারি ঘটে
সেনার তরফে জানানো হয়েছে যে ভারতীয় সেনা ও চিনা পিএলএ-র মধ্যে নাকু লায় যে সংঘর্ষ হয়েছে, তা খুব বড় নয়৷ ঘটনাটি ২০ জানুয়ারি ঘটে৷ ওই জায়গায় নিযুক্তি কমান্ডাররা প্রোটোকল মেনে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছে৷ ভারত ও চিনের মধ্যে গত বছরের মে মাস থেকেই গোলমাল চলছে৷ পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কয়েকবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে চিনা সেনা৷

উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে
এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে৷ জুন মাসে এই নিয়ে সংঘর্ষও বাধে৷ তখন ভারতের বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান শহিদও হন৷ আহত হন অনেকে৷ চিনের তরফে অবশ্য তখন তাদের জওয়ানদের আহত ও নিহত হওয়ার কোনও খবর সামনে আনেনি৷ তবে সূত্রের খবর, ৪০ জনের বেশি চিনা জওয়ান হতাহত হয়েছিলেন।

লাদাখেও অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে লাল ফৌজ
এদিকে গত কয়েক মাস ধরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে৷ রবিবার কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের নবম রাউন্ডের বৈঠকও হয়৷ রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে৷ তার মধ্যেই এই সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এল৷ যদিও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ধরনের ঘটনা আবার ঘটতে পারে৷ আবার নাথু লায় দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বাড়তে পারে৷ এই সুযোগে পূর্ব লাদাখে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও করতে পারে লাল ফৌজ৷