করোনা ভ্যাকসিন নিতে গেলে কোন কোন নথি অত্যাবশ্যক? একনজরে দেখুন তালিকা
জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন, এই দুই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই টিকাকরণ প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন৷ এই বৃহৎ টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে দেশ জুড়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে৷ এই ভ্যাকসিন নিতে হলে বেশ কয়েকটি নথি এবং তথ্য জমা দেওয়া অত্যাবশ্যক হবে।
জরুরি কিছু কাগজপত্র দিতে হবে করোনা টিকা নিতে
সারাদেশে চিহ্নিত করা হাসপাতালে ইতিমধ্যে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। টিকা প্রদানকারী ব্যক্তিদের আগে টিকা দিয়ে আধ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে পরীক্ষা করা হচ্ছে যে তাদের শরীরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় কিনা। করোনার ভ্যাকসিনের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য আপনাকে কিছু জরুরি কাগজপত্র দিতে হবে।
যে কাগজপত্র প্রয়োজন
টিকা নিতে যে কাগজপত্র প্রয়োজন তার মধ্যে রয়েছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, চাকুরীজীবীদের পরিচয়পত্র, মনরেগা জব কার্ড, পাসপোর্ট, স্মার্টকার্ড, পেনশন হোল্ডারদের পরিচয় পত্র, ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসের পাসবুক, এছাড়া অন্য কোনও স্বাস্থ্য বীমা কার্ড থাকলে সেগুলি। এই পরিচয় পত্রগুলির মাধ্যমেই রেজিস্ট্রি করা যাবে। এছাড়া ১০৭৫ টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া হয়েছে।
কোথায় এবং কীভাবে কোভিড ভ্যাকসিন রেজিস্টার করা হবে?
'কোভিড ভ্যাকসিন ইন্টালিজেন্স নেটওয়ার্ক (কো উইন) সিস্টেম একটি ডিজিটালাইজড প্ল্যাটফর্ম। যাঁরা তালিকাভূক্ত রয়েছেন এখানে তাঁরাই থাকছেন রিয়াল টাইম বেসিসে। আপনাকে শুধু প্যানকার্ডের মতো আইডি প্রুফ, পেনশন কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার আইজি এমনারেগা জব কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে নিজের নাম রেজিস্টার করতে হবে। শুধু এই প্রমাণপত্রগুলিই ভ্যালিড। রাজ্য থেকেই একটি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালু হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরুণ। একটি এসএমএস আসবে। যে এলএমএসএ আপনার টিকাকরণের তারিখ, এলাকা সেখানে বলা থাকবে।'
সরকারি কেন্দ্রে করোনা টিকা নিতে গেলে কি দাম দিতে হবে?
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রথমেই ঘোষণা করা হয়েছে সরকার ৩ কোটি ভারতীয়ের করোনা টিকার খরচ বহন করবে। ১৬ জানুয়ারি থেকে প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হচ্ছে গোটা দেশে। সিরামের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের একটি ডোজের দাম ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্ডার অনুযায়ী প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের খরচ ২০০ টাকা তার সঙ্গে ১০ টাকা জিএসটি যোগ করলে দাম দাঁড়াবে ২১০ টাকা। নভেম্বর মাসেই সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন ভারতে খোলা বাজারে কোভিশিল্ডের একটি ডোজের দাম হবে ১০০০ টাকা। কিন্তু সরকার কিনলে ২৫০ টাকা করে তিনি কেভিশিল্ডের একটি করে ডোজ বিক্রি করবেন।