লকডাউন পরবর্তী সময়ে দেশকে রক্ষা করার যেই পরামর্শ দিলেন রঘুরাম রাজন?
করোনা ভাইরাস রুখতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে। থমকে রয়েছে অর্থনীতি। প্রায় একই অবস্থা ভারতেও। যারা বাড়িতে বসে কাজ করতে পারছেন তারা করছেন, না হলে কর্মহীন ভাবে দিন কাটছে কয়েক কোটি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি যে ধসে যাবে তা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত। আর এই ধসের জেরে বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও চাকরির অভাবও

অতীতের থেকে শিক্ষা নিতে হবে
এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে সামলাতে অতীতের থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। একটি ব্লগে তিনি লেখেন, '২০০৮-০৯ সালে আমরা মন্দার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তবে তখনও কিন্তু আমাদের দেশএর মানুষের চাকরি বেঁচেছিল। সেই শিক্ষআ থেকেই আমাদের কাজ করতে হবে।'

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই
তিনি জানান, অনেক কাজ করা বাকি। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গেলে ভারতের শক্তির উৎসগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এমন কথাও নিজের ব্লগে লেখেন তিনি। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের লকডাউনের ফলে আর্থিকভাবে ঝিমিয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি।

ভারতের অবস্থা আমেরিকা বা ইউরোপের দেশগুলির মতো নয়
কীভাবে এর থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব সেই প্রশ্নের উত্তরে রঘুরাম রাজন জানিয়েছেন, ভারতের অবস্থা আমেরিকা বা ইউরোপের দেশগুলির মতো নয় যে জিডিপিতে ১০ শতাংশের বেশি আমরা ব্যয় করতে পারি। এমনিতেই বিশাল ঘাটতির মধ্যে রয়েছি আমরা। আগামীতে আমাদের ব্যয় করতে হবে আরও বেশি।

আমাদের আর্থিক সংস্থান সীমিত
তিনি আরও লেখেন, 'আমাদের আর্থিক সংস্থান সীমিত। সেই সংস্থান দিয়ে সকলকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। রাজ্য ও কেন্দ্রকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। খাদ্য, স্বাস্থ্য, আশ্রয়ের ক্ষেত্র নিয়ে ভাবতে হবে। তা না করলে কী হবে তা পরিযায়ী শ্রমিক আন্দোলনেই দেখেছি আমরা। আর যদি তাঁরা বাঁচতেই না পারেন তাহলে লকডাউন পরবর্তীতে কাজ করতেও তাঁরা অস্বীকার করতেই পারেন।'