সমকামকে বৈধতা দিয়ে কী বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি
সমকামকে আর অপরাধ বলে ভারতে গণ্য করা হবে না। এদিন সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতি বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
সমকামকে আর অপরাধ বলে ভারতে গণ্য করা হবে না। এদিন সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতি বেঞ্চ একসঙ্গে সম্মতি হয়েছেন যে সমকামের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধিকারকে বৈধতা না দেওয়ার কোনও গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই। এদিন মুখ্য বিচারপতি মিশ্র ব্যক্তি পরিচয় ও সম্মানের বিষয়টি নিয়ে রায় দেওয়ার সময় মুখ খোলেন। ব্যক্তি স্বতন্ত্রতা, সমান অধিকার প্রত্যেক ভারতবাসীর সংবিধানগত অধিকার বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন। আর সেজন্যই সম্মতির ভিত্তিতে সাবালক সমকামীদের সমকামকে আদালত বৈধতা দিচ্ছে বলেও জানায়।
স্পষ্ট ব্যাখ্যা
মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, এলজিবিটিকিউ (LGBTQ) গোষ্ঠীর মানুষদের মৌলিক অধিকার ততটাই যতটা অন্য নাগরিকদের সংবিধান থেকে প্রাপ্ত।
[আরও পড়ুন:সমকামী যৌনতা আর অপরাধ বলে গণ্য হবে না, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের ]
দিল্লি হাইকোর্টের রায় দুরমুশ
দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে সমকামিতাকে অপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়েছিল। সেই মতো রায় দেওয়া হয়। সমাজের খুব ছোট অংশের সমস্যা হিসাবে সেটিকে দেখা হয়েছিল। তবে এদিন সেই রায়কে দুরমুশ করে দিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন:সমকামী হিসাবে বলিউডে কাদের নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে! কয়েকটি তথ্য ]
কোনও বৈষম্য নয়
এর বিরুদ্ধাচারণ করে মুখ্য বিচারপতি জানিয়েছেন, আদালতের ভূমিকা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে মৌলিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একজন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মানবাধিকারও বৈষম্যের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়।
বদলেছে সময়
সংবিধানের বদল নিয়ে মুখ্য বিচারপতি মুখ খুলেছেন। সংবিধানের ধারাকে ব্যাখ্যা করার পদ্ধতি বদলাচ্ছে। তা অবশ্যই যুগের ও সময়ের বদলে যাওয়া ধারার সঙ্গে মিলিয়ে যুক্তিযুক্ত হওয়া উচিত।
একজন মানুষও গুরুত্বপূর্ণ
সবচেয়ে বড় কথা আদালত জানিয়েছে যে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে, যার মধ্যে বিচারব্যবস্থাও রয়েছে, বৈচিত্রতা রক্ষা করতে হবে। সমাজের জনপ্রিয় ভাবনাকে সংখ্যালঘুদের উপরে চাপিয়ে দিলে চলবে না। কারণ সমাজের একজন ব্যক্তিরও মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়া উচিত নয়।