'এক দেশ এক ভোট' ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাওয়াত
মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ওপি রাওয়াত জানিয়েছেন, সারা দেশে একসঙ্গে নির্বাচন সংগঠিত করতে গেলে আইনে সংশোধনী আনা প্রয়োজন। তা নাহলে সম্ভব নয়।
বিজেপি তথা কেন্দ্র সরকার চাইছে সারা দেশে একসঙ্গে ভোট পরিচালনা করতে। এতে আধাসেনার কাজ থেকে শুরু খরচ সবই অনেক কমে যাবে। এবং সারা বছর ধরে বিভিন্ন নির্বাচনের ঝক্কি পোহানোর বদলে আমজনতাও একেবারে ভোটের গেরো থেকে বেরোতে পারবে। এই নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ইতিমধ্যে আইন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনই সবার প্রথমে এগিয়ে এসেছিল। সারা দেশে একসঙ্গে ভোট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তার কী কী সুবিধা তা ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।
এদিন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ওপি রাওয়াতকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি ফের জানিয়েছেন, সারা দেশে একসঙ্গে নির্বাচন সংগঠিত করতে গেলে আইনে সংশোধনী আনা প্রয়োজন। তা নাহলে সম্ভব নয়।
#WATCH: Chief Election Commissioner, OP Rawat, says, "simultaneous polls aren't possible without amendments in law. But if polls are to be held in installments, like in 11 states at once, possibilities are there if all respective houses agree to dissolve & conduct polls together" pic.twitter.com/d5JU5oHCuO
— ANI (@ANI) August 14, 2018
এক্ষেত্রে একসঙ্গে ১১টি রাজ্য করে নির্বাচন করার প্রস্তাব বিবেচনা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও লোকসভা ও বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভাগুলিকে একসঙ্গে সম্মতি দিতে হবে। মেয়াদ শেষ করা হবে। তারপর একসঙ্গে ভোট করানো যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন ওপি রাওয়াত।
প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সারা দেশে একটাই নির্বাচন করতে আইন কমিশনকে চিঠি দিয়ে লড়াই করার ডাক দিয়েছেন। গত ১৭ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের আলোচনায় এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ও সারা দেশে এই নিয়ে যাতে গঠনমূলক বিতর্ক হয় তার আহ্বান জানান। লোকসভা ও বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোট একবারে হলে তাতে সবদিকে সাশ্রয় হবে বলেই ইঙ্গিত দেন মোদী।
২০২৪ সাল থেকে একসঙ্গে করে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করার জন্য নীতি আয়োগ গতবছরে সুপারিশ করে। কমিশনের এই নিয়ে তৈরি খসড়ার নাম 'সাইমলটেনাস ইলেকশনস কনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড দ্য লিগাল রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপলস অ্যাক্ট, ১৯৫০'। এতে এক দেশ এক ভোট নিয়ে নানা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
অমিত শাহ যে চিঠি আইন কমিশনকে পাঠিয়েছেন তাতে বলেছেন, নির্বাচনের ঘোষণা হতেই আচরণবিধি লাগু হয়ে যায়। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তাছাড়া লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের মধ্যে কোনও মিল নেই। দুটিতে আলাদা অ্যাজেন্ডায় ভোট হয়। তাই ভোটারদের ভাবনাকে সম্মান জানানো উচিত। একসময়ে ভোট করলে অনেকটা খরচ বাঁচানো যাবে বলেই শাহ চিঠিতে জানিয়েছেন।