লোকসভায় পেশ একাধিক শ্রম বিল! নয়া প্রস্তাবনায় কী কী সুবিধা পাবেন পরিযায়ীরা?
এনডিএ সরকারের প্রস্তাবিত কৃষি বিল লোকসভায় পাশ হলেও তা নিয়ে বিতর্ক জারি রয়েছে। এরই মাঝে শ্রম আইনের আওতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের আওতা প্রসারিত করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি বিল পেশ করা হয় লোকসভায়। এদিন লোকসভায় শ্রম মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়ার এদিন অকুপেশনাল সেফটি বা কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, হেল্থ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড এবং সোশ্যাল সিকিউরিটি বা সামাজিক সুরক্ষা, ২০২০ বিল তিনটি উপস্থাপন করেন।

নতুন বিলে মেডিক্লেইমের ধারা
অকুপেশনাল সেফটি, হেল্থ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড, ২০২০-র ধারা অনুযায়ী ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা কোন ব্যক্তি এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পরিযায়ী হিসাবে স্থানান্তরিত হলে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে ইনসিউরেন্সের দেখভাল করবে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান আইনের অধীনে এই মেডিক্লেইমের বিষয়টি তখনই প্রযোজ্য হত, যখন সেই শ্রমিককে কোনও কন্ট্র্যাক্টর চাকরি দিয়ে অন্য রাজ্যে নিয়ে যেত।

পরিযায়ী শ্রমিকরা পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের সুবিধা পাবেন
তবে আগের আইনে ছিল যে একটি 'ডিসপ্লেসমেন্ট অ্যালাওয়েন্স' পরিযায়ীকে দিতে বাধ্য হত কন্ট্র্যাক্টর। তবে সেই বাধ্যতামূলক ধারাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন আইনে। অবশ্য পরিযায়ীকে ভ্রমণের খরচা দিতে বাধ্য থাকবেন কন্ট্র্যাক্টর। উপযুক্ত আবাসিক আবাসন সরবরাহ সংক্রান্ত ধারাটিও নতুন বিলগুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন বিল পাশ হলে পরিযায়ী শ্রমিকরা পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

আন্তঃরাজ্য পরিযায়ীদের তথ্য সংরক্ষণ
কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী কর্মীদের জন্য বৈদ্যুতিনভাবে একটি জাতীয় পোর্টালে ডেটা বেস বা রেকর্ড বজায় রাখবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি স্ব-ঘোষণা এবং আধার নম্বর জমা দেওয়ার পরে, পোর্টালে তাদের নিবন্ধন করার অনুমতি দেওয়া হবে।

দেশের পরিযায়ী সমস্যা
প্রসঙ্গত, শনিবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল রাজ্যসভায় জানান, লকডাউনে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ৯৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, গত ১ মে থেকে ৪ হাজার ৬২১টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়েছিল কেন্দ্র। ওই সমস্ত ট্রেনে প্রায় ৬৩ লক্ষ ১৯ হাজার অভিবাসী ঘরে ফিরতে পারেন। লকডাউন আমাদের দেশকে চোখে আঙুল দিয়ে পরিযায়ী সমস্যাটা দেখিয়ে দেয়।