প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনায় ব্রাত্য বাংলা! প্রশ্ন শুনে থতমত খেয়ে সচিবকে 'পাস' অর্থমন্ত্রীর
দেশের ৬ রাজ্যের ১১৬টি জেলায় কার্যকর হবে গরিব কল্যাণ অভিযান যোজনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২০ জুন এই প্রকল্প আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করবেন। বিহারের খাগাড়িয়া জেলা থেকে তা শুরু হবে। এই স্থান নির্বাচনের বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। একেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার উপর বিহারের বেকারত্বের হার বর্তমানে জাতীয় গড়কে ছাপিয়ে গিয়েছে।
প্রকল্পের রূপরেখা ঘোষণা
এদিন এই প্রকল্পের রূপরেখা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। অর্থমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সরকার ২৫টি পরিকল্পনা চিহ্নিত করেছে। এই প্রকল্পগুলির আওতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়া হবে। এই কারণে এই ২৫টি প্রকল্প খাত থেকে মোট ৫০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করা হচ্ছে। এই যোজনা দেশের ৬ রাজ্যের ১১৬টি জেলায় কার্যকর হবে।
সচিবকে প্রশ্ন 'পাস' করেন অর্থমন্ত্রী
প্রকল্পের জন্য় উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের ১১৬টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিহারের ৩২টি জেলা রয়েছে। তবে নেই বাংলা। এই প্রশ্ন করতেই কোনও সদুত্তর না দিতে পেরে সচিবকে প্রশ্নটি 'পাস' করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলা ব্রাত্য হওয়ার আসল কারণ
এই বিষয়ে গ্রামীণ কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব বলেন, যে এই জেলা চিহ্নিত করার কাজ যখন চলছিল তখনও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফিরে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের হিসাব দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তা দেওয়া হলে সেভাবে চিহ্নিত করে বাংলার গ্রামকেও প্রকল্পের অন্তর্গত করা হবে বলে জানানো হয়।
কিসের ভিত্তিতে জেলা নির্ধারণ
জেলা নির্ধারণ করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার সমীক্ষা করে দেখেছে যে গড়ে ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক দেশের এই ১১৬ টি জেলায় বিভিন্ন শহর থেকে ফিরেছেন। তবে ভবিষ্যতে এই জেলার সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে উল্লেখ করেন তিনি।
কী কী ক্ষেত্রে কাজ?
এদিকে
পরিযায়ী
শ্রমিকদের
কর্মসংস্থানের
জন্য
এই
অভিযান
১২৫
দিন
ধরে
চলবে
বলে
জানান
তিনি।
দক্ষ
ও
অদক্ষ
শ্রমিকের
ম্যাপিং
করা
হয়েছে।
সড়
নির্মাণ,
গ্রামীণ
গৃহ
নির্মাণ,
অঙ্গনওয়াড়ি,
প্রধানমন্ত্রী
কুসুম
প্রকল্প,
ফাইবার
অপটিক
কেবল
পাতার
কাজ,
জলজীবন
মিশন,
প্রধানমন্ত্রী
উর্জা
গঙ্গা
প্রকল্প,
পশুপালন
প্রকল্প
ইত্যাদিতে
পরিযায়ী
শ্রমিকদের
কাজে
লাগানো
হবে।
প্রকল্পের মেয়াদ মাত্র ১২৫ দিন
এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ মাত্র ১২৫ দিন হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নির্মলা বলেন, যে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তাঁদের অবিলম্বে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই অভিযান শুরু করা হচ্ছে। ১২৫ দিন মাস মানে চার মাস। তার পর সরকার দেখবে, কতজন ওই কাজ করতে চায়। কতজন তাদের পুরনো কাজে ফিরে যেতে চায়। তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দেশের দিকে বাঁকা চোখে তাকালে ব্যবস্থা! দিলীপের উপস্থিতিতে শতাধিক সিপিএম কর্মীর যোগদান বিজেপিতে