রাজ্যে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি! সংক্রমণে বাংলায় দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
বৃহস্পতিবার ৩৮৫৬, শুক্রবার ৩৮৩৫, শনিবার ৩৮২৩, রবিবার ৩০৫৩, সোমবার ৩০১২। রাজ্যে (west bengal) করোনা (coronavirus) পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, সারা দেশের নিরিখে তা অনেকটাই পিছনে। ইতিমধ্যেই দেশে করোনা সং
বৃহস্পতিবার ৩৮৫৬, শুক্রবার ৩৮৩৫, শনিবার ৩৮২৩, রবিবার ৩০৫৩, সোমবার ৩০১২। রাজ্যে (west bengal) করোনা (coronavirus) পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, সারা দেশের নিরিখে তা অনেকটাই পিছনে। ইতিমধ্যেই দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে পরিচিত হওয়া মহারাষ্ট্রের অবস্থা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও কেরলের পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়েছে। এই দুই রাজ্য এখন বাংলার পিছনে চলে গিয়েছে। বাংলার সামনে এখন শুধুমাত্র দিল্লি।
গত পাঁচ মাসে মহারাষ্ট্রে করোনায় সব থেকে কম সংক্রমণ! মুম্বইয়ের পরিস্থিতির উন্নতি, তাক লাগাচ্ছে বিহার
মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি
সোমবার মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৩৫ জন। সব মিলিয়ে ৩০০১ জন সুস্থ হয়েছেন ওইদিন। ফলে সুস্থতার সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৬, ১৮, ৩৮০-তে। সোমবার মুম্বই শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৯। ওইদিন রাজ্যে যে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে মুম্বইয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭০, ১১৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০, ৫৮৫ জনের। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত সুস্থতার হার ৯২. ৪৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ২.৬৩ শতাংশ।
কেরলের পরিস্থিতি
কেরলে সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭১০। সুস্থ হয়েছেন ৬৫৬৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫, ২৭, ৭০৯ জন। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৭০, ৯২৯ জন। এখনও পর্যন্ত সেখানে সুস্থ হয়েছেন ৪,৫৪, ৭৭৪ জ
দিল্লির পরিস্থিতি
উৎসবের মরশুমের পরেই দিল্লির পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়েছিল। প্রতিদিনের সংক্রমণের সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় আট হাজারে। তবে সোমবার পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সেখানে সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৯৭। এখনও পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪, ৮৯, ২০২। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০, ১২৮ জন। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩,৫৬০ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪,৪১, ৩৬১ জন। সোমবার সেখানে মৃতের সংখ্যা ৯৯।
রাজ্যে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় পরিস্থিতি একই করমের
সোমবারের হেলথ বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩, ০১২ জন। ফলে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪, ৩৪, ৫৬৩ জন। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২৭, ৮৯৭ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩, ৯৮, ৯৫২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ৪,৩৭৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
সোমবার সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে কলকাতায়। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওইদিন কলকাতায় ৭২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরদুয়ারে ৪১, কোচবিহারে ২৯, দার্জিলিং ১৩৬, কালিম্পং ২৬, জলপাইগুড়ি ১৬৩, উত্তর দিনাজপুরে ২৮, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৪৬, মালদহে ১৫, মুর্শিদাবাদে ৪৮, নদিয়া ১৯৭, বীরভূম ৩৫, পুরুলিয়া ১, বাঁকুড়ায় ৩৯, ঝাড়গ্রাম ৮, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭১, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬২, পূর্ব বর্ধমানে ৬৬, পশ্চিম বর্ধমানে ৬১, হাওড়া ১১৯, হুগলিতে ১৯০, উত্তর ২৪ পরগনায় ৭১৮, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৮৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার সুস্থতার হার খানিক বেড়ে হয়েছে ৯০. ৮১%। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে সারা দেশে সুস্থতার হার ৯৩.২৭% । সোমবার মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের।
এদিন যে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্য জুড়ে, তাঁদের মধ্যে ১৪ জন কলকাতার। এখনও পর্যন্ত কলকাতায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৩৫ জনের। মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৭৯৪ জনের। সোমবার সেখানে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই রয়েছে হাওড়া, সেখানে ৮১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপর রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে ৫১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যথাক্রমে ৮ ও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার নদিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।