যোগী না ভোগী, জোট সরকার জিতলেই লোকসভাতে বিজেপি বিদায় নিশ্চিত! তোপ মমতার
যোগী না ভোগী, জোট সরকার জিতলেই লোকসভাতে বিজেপি বিদায় নিশ্চিত! তোপ মমতার
মোদী গড়ে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচন চলছে। সামনেই সপ্তম দফার নির্বাচন। আর শেষ দফার নির্বাচনের আগে অখিলেশের হয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মোদী গড় বলে পরিচিত বারানসিতে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে মোদী-যোগীকে তীব্র আক্রমণ তাঁর। একই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনেও দিল্লি থেকে মোদী সরকারকে কার্যত উৎখাতের ডাক।
শেষ দফায় ভোট রয়েছে বারাণসীতে। আর সেই জায়গাকেই মমতার সঙ্গে প্রচারস্থল হিসাবে বেছে নেওয়া হয় সমাজবাদী পার্টির তরফে। আর সেখানে মমতাকে দেখতে কয়েক হাজার ভিড় করেন।
যা দেখে অখিলেশ বলেন, বারানসিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সভা ঐতিহাসিক। বহু মানুষ শুধু মমতাদিদিকে দেখতে এসেছেন। আর এমন ভিড়ে ঠাসা জনসভায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে স্বাগত জানান অখিলেশ। কার্যত ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বলেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির চলে যাওয়াটা নিশ্চিত। তাও মানুষকে বিজেপিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে ধাক্কা দেওয়ার ডাক দেন। বলেন, আরও একটা ধাক্কা দিন, যাতে ছিটকে পড়ে যায়। একই সঙ্গে মহাজোটকে জেতানোর ডাক দেন তিনি। মমতা বলেন, আমার কাছে খবর আছে উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের নেতৃত্বে জোট সরকার তৈরি হবে।
শুধু তাই নয়, মমতার দাবি বারণসীতে যদি জোট সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে ২৪ এ দিল্লিতে পরিবর্তন আসতে বাধ্য। আর তাই বারাণসীর মানুষকে জোট সরকারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান তৃণমূল নেত্রীর। একই সঙ্গে যোগী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, উনি যোগী না ভোগী! নিজেকে সাধু বললেও আসলে উনি সাধু সমাজের কলংক বলেও তীব্র আক্রমণ। উত্তরপ্রদেশের মানুষের জন্যে কিছুই করেননি। যদি করতেন তাহলে এখানকার মানুষ বাইরের রাজ্যে কাজে যেতেন না।
যেভাবে গালি দেওয়া হয়, হামলা হয়েছে বুঝে গিয়েছে বিজেপি যাচ্ছে! মোদী গড়ে হুঙ্কার মমতার
অন্যদিকে মোদী গড়ে দাঁড়িয়েও প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করতে ছাড়লেন না মমতা। বলেন, ভোট আসলেই দেখা যায় মন্দিরে মন্দিরে ঘুরছেন! কখনও গঙ্গায় ডুব দিচ্ছেন। আর সেই গঙ্গা দিয়েই করোনার সময় মৃতদেহ ভেসে যাচ্ছে। আর সেই মৃতদেহ বাংলাকে সতকার করতে হচ্ছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতার। আর তাই উত্তরপ্রদেশের মা-বোনদের এগিয়ে এসে অখিলেশ যাদবকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
একই সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতেও মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ মমতার। পুতিনের সঙ্গে এত ভালো সম্পূর্ণ যে তিনমাস আগে যুদ্ধের খবর ছিল ওনার কাছে। কিন্তু বাচ্ছা ছেলেমেয়েগুলিকে উদ্ধার করা হল না। কেন ওদের একা ছেড়ে দেওয়া হল প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।
অন্যদিকে বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন অখিলেশও। তাঁর মতে, বিজেপিকে ঐতিহাসিক লড়াইয়ে পর্যুদস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।