বঙ্গবিজেপির ১৪ সাংসদের সঙ্গে বিজয়বর্গীয়র রুদ্ধদ্বার বৈঠক! বিধানসভা ভোটের আগে কোন রোডম্যাপ তৈরি
নির্দিষ্ট ছকে বিজেপি রণনীতি সাজিয়ে এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছে ২০২১ বাংলার বিধানসভা ভোটের দিকে। আগামী বছর এপ্রিল , মে মাসে সংগঠিত হতে চলেছে ভোট। সেই ভোটের রণনীতি নিয়ে কলকাতার এক বিলাসবহু হোটেলে বৈঠকে বসেন বিজেপির ১৪ সাংসদ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই বৈঠকে কী উঠে এল।
বঙ্গ বিজেপির রণনীতি ২০২১ এর ভোটে
মমতা বিরোধী ভোটব্যাঙ্ক নাকি বিজেপির সপক্ষের সমর্থন , কাকে বাক্সবন্দি করে বাংলার ২০২১ ভোট বিজেপি জিততে চাইছে তা নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সদ্য সম্পন্ন হয়েছে বলে খবর। বৈঠকে রাজ্য বিজেপির ১৪ সাংসদ ও বাংলার বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মূলত, মমতা বিরোধী ভোটের থেকেো বেশি বিজেপির নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
কোন রোডম্যাপ নিয়ে ইস্তেহার!
সময় নষ্ট করতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। তাই ভোটের আগে কয়েক মাস বাকি থাকতেই ৫ তাবড় নেতাকে বিভিন্ন জেলায় পর্যবেক্ষক হিসাবে মাঠে নামাচ্ছে দল। আর এই কয়েক মাস বাকি থাকতেই বিজেপি তার ইস্তেহার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির কাছে আসা বাংলার 'অ্যাসেসমেন্ট পেপার', তথা রাজ্যের কোন অংশে মানুষের ক্ষোভ কী নিয়ে , বা আশা, চাহিদার বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বৈঠকে একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
কারা ছিলেন বৈঠকে?
কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছাড়াও এই বিলাসবহুল হোটেলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ছিলেন অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, সুভাষ সরকার, অসীম ঘোষের মতো তাবড় ব্যক্তিত্বরা। প্রসঙ্গত, অমিত শাহ ২০০ আসন বিজেপির জন্য বাংলায় পাখির চোখ ঘোষণার পর থেকেই জোর কদমে রণনীতি ছকতে শুরু করেছে পদ্মক্যাম্প। আর সেখানেই প্রাথমিক জল্পনা রয়েছে, মমতা বিরোধিতা নাকি বিজেপির নিজস্ব সমর্থন, কোন দিককে ভর করে ২০২১ ভোট বৈতরনী পার করতে চাইছে এই দল।
পিকে রণনীতির পাল্টা কৌশল ও 'আমাদের দিলীপদা'
একদিকে
'দিদিকে
বলো',
'মার্ক
ইওর
সেল্ফ
সেফ
ফ্রম
বিজেপি'
র
মতো
একের
পর
এক
সোশ্যাল
মিডিয়া
প্রচারে
পারদ
চড়িয়েছেন
মমতার
ভোট
স্ট্র্যাটেজিস্ট
প্রশান্ত
কিশোর।
এদিকে,
তার
পাল্টা
জবাব
দিতে
তৈরি
হয়েছে
বিজেপি।
বিজেপির
তরফে
'আমাদের
দিলীপদা'
ওয়েবসাইটে
সরাসরি
মানুষের
সমস্যার
কথা
শুনে
তাকে
প্রচারের
অন্যতম
হাতিয়ার
করতে
চাইছে
বিজেপি।
বিরোধীদের কোন কৌশলকে ঠেকানোর চ্যালেঞ্জে বিজেপি
একদিকে কংগ্রেস, বামেদের মতো দলের তরফে বিজেপির সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে সরব হওয়া, অন্যদিকে এই ইস্যুর পাশাপাশি মমতার দল কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে বিজেপির দলীয় নেতাকে টার্গেটে রাখছে। এই দুই ইস্যুর চ্যালেঞ্জ ঠেকিয়ে রাখা বিজেপির সামনে বড় দিক। তেমনই রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি থেকে নতুন আশার বিকল্প রাস্তা দেখিয়ে ভোটারদের মনজয় করতে হবে। এই সমস্ত বিষয়কে মাথায় রেখেই আপাতত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিজেপি নির্ধারণ করছে 'সোনার বাংলরা' রূপরেখা।