বিএসএফ-এর অধীনে রাজ্যের অর্ধেক! কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগে সোচ্চার বাংলা-পঞ্জাব
পঞ্জাবের (punjab) নতুন মুখ্যমন্ত্রী চান্নি ৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে দাবি করেছিলেন পঞ্জাবের অস্ত্র ও ড্রাগের চোরাচালান রোধে সীমান্ত সিল করার জন্য। তার ছয়দিনের মধ্যে কেন্দ্র নতুন
পঞ্জাবের (punjab) নতুন মুখ্যমন্ত্রী চান্নি ৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে দাবি করেছিলেন পঞ্জাবের অস্ত্র ও ড্রাগের চোরাচালান রোধে সীমান্ত সিল করার জন্য। তার ছয়দিনের মধ্যে কেন্দ্র নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই রাজ্যের আরও ৩৫ কিমি অভ্যন্তরে বিএসএফ(BSF)-এর কাজের সীমা বৃদ্ধি করেছে। যা নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) ক্ষেত্রে সেরকম কিছু না ঘটলেও বিএসএফকে একই ধরনের ক্ষমতায় দেওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিএসএফ-এ কাজের পরিধি বেড়েছে তিন রাজ্যে, কমেছে অনেক রাজ্যে
১১ অক্টোবর এক আদেশ বলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পঞ্জাব, বাংলা এবং অসমের ক্ষেত্রে বিএসএফ-এর কাজের পরিধি সীমান্তের ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের ক্ষেত্রে আগে ৫০ কিমি ছিল এখনও তাই থাকছে। অন্যদিকে গুজরাতের ক্ষেত্রে তা ৮০ কিমি থেকে কমিয়ে ৫০ কিমি করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৫ রাজ্য মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ের ক্ষেত্রে বিএফএফ-এর কাজের পরিধি ৮০ কিমি থেকে কমিয়ে ২০ কিমি করে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হল সীমান্ত থেকে এই দূরত্বের মধ্যে বিএসএফ তল্লাশি, সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার এবং জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত পর্যন্ত করতে কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হবে না। এব্যাপারে বিএসএফ-এ ৩ জুলাই ২০১৪-র নির্দেশিকা সংশোধন করা হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে ব্যাখ্যা
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিএসএফ-এর পরামর্শ অনুসারে ১৯৬৮ সালের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাক্ট সংশোধন করা হয়েছে। যেখানে বড় রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে বিএসএফ-এর কাজের এলাকা এক করে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্জাবের প্রতিবাদ
বিএসএফ-এর
কাজের
পরিধি
বাড়ানোর
ঘটনায়
প্রতিবাদ
জানিয়েছে
পঞ্জাব।
মুখ্যমন্ত্রী
চরণজিৎ
সিং
চান্নি
সীমান্তবর্তী
রাজ্যে
বিএসএফ-এর
কাজের
পরিধি
আরও
৩৫
কিমি
বাড়িয়ে
দেওয়ার
ঘটনার
কড়া
সমালোচনা
করেছেন।
এব্যাপারে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
সিদ্ধান্তকে
অযৌক্তিক
অ্যাখ্যা
দিয়েছেন।
বিষয়টি
সরাসরি
যুক্তরাষ্ট্রীয়
কাঠামোয়
আঘাত
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অমিত
শাহের
কাছে
তাঁর
দাবি,
অবিলম্বে
এই
সিদ্ধান্ত
প্রত্যাহার
করা
হোক।
প্রসঙ্গত
৫
অক্টোবর
পঞ্জাবের
মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
সঙ্গে
দেখা
করে
রাজ্যে
ড্রাগ
ও
অস্ত্রের
চোরাচালান
বন্ধে
আন্তর্জাতিক
সীমান্ত
সিল
কার
দাবি
করেছিলেন।
তার
ছয়দিনের
মধ্যে
কেন্দ্র
তাদের
নতুন
সিদ্ধান্তের
কথা
জানায়।
কংগ্রেস
সাংসদ
মনীশ
তিওয়ারি
টুইট
করে
বলেছেন,
কেন্দ্রের
এই
সিদ্ধান্তের
জেরে
পঞ্জাবের
অর্ধেক
চলে
যাবে
বিএসএফ-এর
অধীনে।
প্রতিবাদ বাংলারও
পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘন করছে। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয় হলেও কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মাধ্যমে সেখানে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে।
যদিও অসম সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত স্বাগত জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বিএসএফ-এর তরফে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তে তাদের কাজের এলাকায় অভিন্নতা থাকবে।