সেপ্টেম্বরে দেশে অতিরিক্ত বৃষ্টি! কবে মৌসুমী বায়ুর বিদায়, কী বলছে হাওয়া অফিস
সেপ্টেম্বরে দেশে অতিরিক্ত বৃষ্টি! কবে মৌসুমী বায়ুর বিদায়, কী বলছে হাওয়া অফিস
সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ২৭% বেশি বৃষ্টি (rain) হয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরির পরে ফের ২৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যার জেরে এবার মৌসুমী বায়ুর (monsoon) প্রস্থানে (withdrawal) দেরি হতে পারে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। সাধারণভাবে দেশে মৌসুমী বায়ু প্রস্থান শুরু হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এবছর তা শুরু হতে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ গড়িয়ে যাবে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।
অগাস্টেই ছিল ভিন্ন পরিস্থিতি
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অগাস্টের শেষ পর্যন্ত, সারা দেশেই বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৯ শতাংশের মতো। যার জেরে মনে হচ্ছিল সেই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, দেশে খরার মতো তৈরির সম্ভাবনা তৈরি পারে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে সারা দেশেই ভারী বৃষ্টির হয়েছে। এর ফলে দেশে বৃষ্টির ঘাটতি নেমে এসেছে প্রায় ৩ শতাংশের মতো।
মৌসুমী বায়ুর দেরিতে প্রস্থান অস্বাভাবিক কিছু নয়
তবে দেশ থেকে দেরি মৌসুমী বায়ুর প্রস্থান অস্বাভাবিক কিছু নয়। ২০১৯-এ দেশ থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রস্তান শুরু হয়েছিল ৯ অক্টোবর থেকে। গত বছরে এর প্রস্থান শুরু হয়েছিল ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে। এর আগে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালেও মৌসুমী বায়ুর প্রস্থানে দেরি হয়েছিল। মৌসুমী বায়ুর সারা দেশ থেকে প্রস্থান সম্পূর্ণ হয় অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে।
দেশের বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত বৃষ্টি
সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে বেশের বিভিন্ন অংশেই অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। মধ্যভারতে অতিরিক্ত বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় ৭১ শতাংশের মতো। আর উত্তর পশ্চিম ভারতে অতিরিক্ত বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় ২৬ শতাংশের মতো।
১৩ বছরে রেকর্ড বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা সময়ে কলকাতায় আলিপুরে ১৪২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। যা গত তেরো বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০০৮ সালে কলকাতায় সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১৪০ মিমি।
আপাতত মৌসুমী বায়ুর প্রস্থানের কোনও সম্ভাবনা নেই
সাধারণ ভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মৌসুমী বায়ুর প্রস্থানের সম্ভাব্য তারিখ বলা যায় নির্দিষ্ট দিনের ১০ দিন আগে। তবে দেশের পূর্বাংশে এখনও সেরকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। উত্তর ভারতের পরিস্থিতিও একই রকমের। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যদি উত্তর-পশ্চিম ভারতে চানা পাঁচদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকে তাহলেই ধরে নেওয়া হয় মৌসুমী বায়ু প্রস্থান করছে। এই মৌসুমী বায়ু প্রস্থানের অপর সূচক হল ঘূর্ণাবর্তের বিপরীত বায়ু এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমতে থাকা।