অক্টোবরে ভারী বৃষ্টিপাত কী কারণে, আবহাওয়া দফতর বলছে এটা বর্ষার বৃষ্টি নয়
অক্টোবরে ভারী বৃষ্টিপাত কী কারণে, আবহাওয়া দফতর বলছে এটা বর্ষার বৃষ্টি নয়
অক্টোবরে ভারী বৃষ্টিপাত কী কারণে, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে আবহবিদদের মধ্যে। আবহাওয়া দফতর বলছে, এটা বর্ষার বৃষ্টি নয়! তাহলে কী কারণে এই বৃষ্টি, তা নিয়ে চলছে গবেষণা। আবহবিদরা বলছে, সাম্প্রতিক যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে দেশজুড়ে বা অক্টোবরের শুরু থেকে যে বৃষ্টি হয়ে আসছে, তার পিছনে রয়েছে অন্য কারণ।
বর্তমানে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তা বর্ষা নয়!
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দিল্লিতে বর্তমানে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তা বর্ষা নয়। ২৯ সেপ্টেম্বর শহর থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে. রবিবার দিল্লিতে একদিনে যে পরিমাণ বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে তা ২০০৭ সাল থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দিল্লি শহরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
আরও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, তাও বর্ষা নয়
আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা তার সর্বেশষ পূর্বাভাসে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তামিলনাড়ু এবং রায়ালসিমায় এবং আগামী দুদিনের মধ্যে কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
তাহলে ফের এত বৃষ্টি কেন, কীসের কারণে?
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, আপনি যদি ভাবেন এসব বর্ষার বৃষ্টি, তাহলে ভুল হবেষ কারণ বর্ষার বৃষ্টি এগুলো নয়। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে বর্ষার বৃষ্টি হয়েছে ৬৫৬.৬ মিমি। এখানে স্বাভাবিক বর্ষার বৃষ্টির পরিমাণ ৫১৬.৯ মিমি। তাহলে ফের এত বৃষ্টি কেন, কীসের কারণে? তা নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে অত্যাধিক বৃষ্টি
উত্তর ভারতের বেশ কিছু অংশে যে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হচ্ছে তা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফল, যা মধ্য ও উপরের ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তরে ট্রফ হিসেবে তৈরি হয়েছে। ট্রফটি ৬৪ ডিগ্রি পূর্ব থেকে ২৫ ডিগ্রি উত্তরে একটি ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালনে ব্যস্ত এবং দক্ষিণ হরিয়ানা ও নিম্ন ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তরের আশেপাশে অবস্থিত।
বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টিপাত
আবহবিদরা বলেন, ট্রপোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্নস্তর। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার উপরে বিস্তৃত। এবং বৃষ্টি বহনকারী নিম্বাস মেঘ-সহ বেশিরভাগ মেঘের আবাসস্থল। ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালনের সঙ্গে পশ্চিমা বিঘ্নের মিথস্ক্রিয়ায় বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টিপাত পরিচালিত করছে।
আরব সাগর থেকে আর্দ্রতা বয়ে এনেছিল বাতাস
১১ অক্টোবর উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে বজ্র-বিদ্যুৎসহ ভারী বর্ষণ সংঘটিত করবে। এর আগে আরব সাগর থেকে আর্দ্রতা বয়ে এনেছিল বাতাস। তার ফলে দিল্লি থেকে পূর্ব রাজস্থানে প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল। আইএমডি তার সর্বশেষ আপডেটে বলেছে, উত্তরকাশী, নাজিয়াবাদ, আগ্রা, গোয়ালিয়র রতলাম, ভরুচের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের লাল সতর্কতা! উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে অতিভারী বৃষ্টির পরিস্থিতির উন্নতি কবে