'আমরা ঘৃণার রথকে রুখে দিয়েছি', আর কী বললেন কৈরান-জয়ের এই নেপথ্য নায়ক
কৈরানের বিশাল জয়ের পর আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী বলেন, 'আমরা ঘৃণার রথকে রুখে দিয়েছি'।
'আমরা ঘৃণার রথকে রুখে দিয়েছি' কৈরানের বিশাল জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন রাষ্ট্রীয় লোকদল নেতা জয়ন্ত চৌধুরী। কৈরানে ৫৫ হাজারেরও বেশই ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তাঁদের দলের প্রার্থী তবস্সুম হাসান। তবে তবস্সুম শুধু আরএলডি-র প্রার্থীই ছিলেন না, এই উপনির্বাচনে তাঁকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি , আপ, এবং সিপিআইএমও।
উত্তর প্রদেশে কৈরাণ লোকসভা কেন্দ্রের ফলের দিকে চোখ ছিল সারা দেশের। এই রাজ্য থেকেই ২০১৪ সালে মোট প্রাপ্ত আসনের প্রায় একচুর্থাংশ লাভ করেছিল বিজেপি। সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে এসেছে এদিনের বিশাল জয়। ভোটের আগে প্রচারপর্বে অবশ্য ভেদাভেদের রাজনীতি করতে চেয়েছিল বিজেপি, বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কৈরান এলাকাটি ভারতের অন্য়তম বড় আঁখ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানকার অধিকাংশ লোক ফসলের উপর নির্ভরশীল। বিপুল পরিমাণ ঋণ শোধের সমস্যায় ভুগছেন কৈরালের মানুষ।
কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানের দিকে না গিয়ে বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে জাতের ভিত্তিতে মেরুকরণ করার চেষ্টা করেছিল বলে দাবি বিরোধীদের। বস্তুত এই ভোটের কয়েক মাস আগেই আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহম্মদ আলী জিন্নার প্রতিকৃতিটি কেন থাকবে তা নিয়ে শোরগোল বাধিয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এভাবে তারা আম আদমী দৃষ্টি প্রকৃত সমস্যাগুলির দিক থেকে সরাতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ।
এমনিতে কৈরানে মুসলিম, দলিত, জাঠ এবং ওবিসি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বাস। কাজেই মেরুকরণের রাজনীতি এখানে সফল হওয়ারই কথা। কিন্তু আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী জানান বকেয়া পরিশোধের দায়ই এলাকার সব সম্প্রদায়ের মানুষকে বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা করে দেয়। তাই তাঁর দাবি এই জয় বিজেপির ঘৃণা ছড়ানোর রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষের জয়। এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, সবাই একত্রিত হয়ে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি'র 'ঘৃণা রথ'-কে আটকে দিয়েছে।
তাঁর আশা, আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করার জন্য বিরোধী শক্তিগুলি এভাবেই এক মঞ্চে এসে দাঁড়াবে। এদিন জয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, "বিরোধী ঐক্যকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে জোট গঠন করার পথে আরএলডি নি-সন্দেহে একটি বড় ভূমিকা নেবে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপির একটি বিকল্প দিতে পারব। যে জোটই হোক না কেন, আমরা তাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবো'।
তাঁদের
প্রার্থীকে
সমর্থনের
জন্য
অধিক
অখিলেশ
যাদব
থেকে
মায়াবতী,
রাহুল
গান্ধী,
সোনিয়া
গান্ধী,
সিপিআইএম
নেতৃত্ব,
আপ
নেতৃত্ব
সকলকে
ধন্যবাদ
জানান
জয়ন্ত
চৌধুরী।
কৈরানে
জোট
প্রার্থীকে
ভোট
বৈতরণী
পার
করানোর
দায়ীত্ব
ছিল
তাঁরই।
জয়ের
পর
সব
দলের
কাছেই
নায়কের
সম্মান
পাচ্ছেন
তিনি।