কংগ্রেসের নেতৃত্ব ঘিরে সংকটের কালো মেঘ! রাহুলকে ঘিরে চাপা অসন্তোষ কি দানা বাঁধছে
কংগ্রেসের নেতৃত্ব ঘিরে সংকটের কালো মেঘ! রাহুলকে ঘিরে চাপা অসন্তোষ কি দানা বাঁধছে
এককালে যে দিল্লি দাপটের সঙ্গে দখলে রেখেছিল কংগ্রেস, সেই ১৩৪ বছরের পুরনো দলকে বর্তমানে অনেকই কটাক্ষের সুরে 'ব্যানার পার্টি' বলে আখ্যা দেন। অনেকেই মশকরায় বলেন, কংগ্রেস দলটি শুধুমাত্র খাতায় কলমে রয়েছে এই দেশের গণতন্ত্রে। আর দিল্লি নির্বাচনে হারের পর ৭০ টির মধ্যে একটিও আসন না পেয়ে এবার কংগ্রেস শুরু করেছে আত্ম অনুসন্ধান। আর তার জেরেই একাধিক কংগ্রেসের নেতা বিস্ফোরকভাবে বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন। যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাহুল শিবিরের জন্য।
আলোচনার প্রয়োজন
শীক্ষা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ যখন বলেছিলেন যে, তিনি গত সেপ্টেম্বর থেকেই জানতেন যে দিল্ল নির্বাচনে হার হবে কংগ্রেসের। তখন কংগ্রেসের একাধিক নেতা তাঁর দিকে কটাক্ষ করতে শুরু করেন। তবে এবার দলের ৩ বারের সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি জানান, এবার থেকে বসে গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে। কোন কারণে ভোটাররা অন্য দলের দিকে যাচ্ছেন , তা নিয়ে রয়েছে চিন্তা ভাবনা করার দিক।
জয় রাম রমেশের বক্তব্য
শুধুমাত্র অভিষেক মনু সিংভিই নন, পার্টির বর্ষীয়ান ও ক্ষুরধার নেতা জয় রাম রমেশ পার্টির নেতৃত্বের চেহারা বদল নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন যে, পার্টির বর্ষীয়ানদের উচিত দলকে গাইড করা। গোটা বিষয়টি উপ থেকে নজরে রাখা। ফলে এক্ষেত্রেও সিডাব্লুসি এর আগে তথা রাহুল গন্ধীকে পুনর্বার কংগ্রেস প্রধান হিসাবে নির্বাচিত করার আগে কংগ্রেসের অন্দরেরর কোন্দল আরও জাগ্রত হয়ে উঠছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শশী থরুরের বক্তব্য
এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের ভবিষ্যত নিয়ে শশী থরুর একাধিক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, 'রাহুল গান্ধীর ইস্তফার পর সোনিয়া গান্ধী অনন্ত কাল ধরে এই দায়িত্ব এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন না। আর তার জেরেই এই শূন্যস্থানকে পূরণের চেষ্টা আমাদের সকলকে করতে হবে। ' কংগ্রেসের সভাপতি পদের ফাঁকা স্থানের পূরণের জন্য যোগ্য মানুষ খোঁজার কাজ এখনই শুরু করার ডাক দেন তিনি।
রাহুল শিবির
এদিকে, কংগ্রেসের একটা বড় অংশ চায় যে রাহুল গান্ধীই আবার ফিরে আসুন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা হিসাবে। সেই মর্মে তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকেই মত পোষণ করতে শুরু করেছেন। এমনকি সন্দীপদের মতো সমালোচকদের বিরুদ্ধেও তোপ দাগতে শুরু করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের অন্তর কোন্দল কোনপথে যায় , সেদিকে নদর সকলের।
'ভারতের বিরোধিতা করলেই গুলি করে হত্যার আইন আনা হোক', দাবি দেশের মন্ত্রীর