
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ, ১৩-দলের বিরোধী বিবৃতিতে KCR-কে বড় ধাক্কা
কিছুদিন আগেই নিজের বিজেপি বিরোধী স্ট্যান্ডের জন্য চর্চায় ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। মোদীর সামনে অন্যতম শক্তিশালী বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্ঠায় খামতি রাখেননি কেসিআর৷ কিন্তু সম্প্রতি তাঁর সেই জাতীয় রাজনীতির প্রচেষ্ঠায় জল পড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ সম্প্রতি ১৩ টি বিজেপি-বিরোধী দল যৌথ বিবৃতি দিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষা নিয়ে৷ যেখানে টিআরএসের কেউ কিংবা খোদ কেসিআরকে রাখা হয়নি৷

কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রধান শরদ পাওয়ার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ১৩টি বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের দ্বারা এই যৌথ বিবৃতিটি জারি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিরোধী নেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে এই যৌথ বিবৃতিতে তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি), জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) এবং টিআরএস নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যদিও এর আগো এন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং এইচডি দেবগৌড়া জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। একদিকে এটি যেমন কেসিআরের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খায় ঠান্ডা জল ঢেলেছে সেরকমই এই বিজেপি-বিরোধী দলগুলির যৌথ বিবৃতিতে তিন দলের না থাকাকে রাজনৈতিক মহলে বিরোধ ঐক্যে ফাটল হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
অস্বস্তি বাড়িয়ে পদত্যাগ ১০ বিজেপি নেতার! দলীয় শৃঙ্খলাই আগে, বলছেন সুকান্ত
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলি এই অবস্থান তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস), টিডিপি, জেডি (এস) এর জন্য মোটেই আশাবাদী কিছু নয়। একইসঙ্গে এটি বিজেপি-বিরোধী শিবিরে জাতীয় রাজনীতি থেকে কেসিআর-এর বিচ্ছিন্নতার ইঙ্গিতও দেয়। সাম্প্রতিক অতীতে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তার জাতীয় রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখিয়েছেন, নিজেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে বিজেপি বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের জন্য সমনস্ক দলগুলিকে একত্রিত হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। বিজেপি-বিরোদীদের একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য রাও বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। কিছুদিন আগেই মুম্বাই সফরের গিয়ে তিনি শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।
