কৃষক আন্দোলনের মতো একটানা বিক্ষোভের ডাক, ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
কৃষক আন্দোলনের মতো একটানা বিক্ষোভের ডাক, ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেই কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় আম-আদমির। ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সোমবার থেকে ধর্মঘটে নেমেছে ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলি। প্রস্তাবিত বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ন’টি ইউনিয়ন দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট পালন করছে। এদিকে সরকার বেসরকারিকরণের রাস্তা থেকে না সরলে আগামীতে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নেমেছে ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলি।
দুদিন চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
এমনকী প্রয়োজেন নভেম্বর থেকে চলা দিল্লির কৃষক আন্দোলনের মতো একটানা প্রতিবাদ কর্মসূচীর রাস্তাতেও হাঁটতে পারে ইউনিয়নগুলি। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এমনটাও। এদিকে এই ধর্মঘটের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির এটিএম-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর জেরেই দুদিন চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা।
ধর্মঘট নেই বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির ইউনিয়ন
অন্যদিকে যদিও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির ইউনিয়ন এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে না। পরিষেবা সচল রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে। তবুও ধর্মঘটের ছাপ যে ব্যাঙ্ক মহলে স্পষ্ট, তা রাস্তায় বেরোলেই বোঝা যাচ্ছে। এদিকে ধর্মঘট হচ্ছে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন বা ইউএফবিইউ-এর ছাতার তলায়। বিলগ্নিকরণ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই ধর্মঘটে শামিল অন্তত ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন। অন্তত দশ লক্ষ ব্যাঙ্ককর্মী ধর্মঘটকে সমর্থনও করছেন।
বাজেটেই বেসরকারিকরণের ঘোষণা
এদিকে এমনিতে গত রবিবার এবং শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। তার পরে ধর্মঘটের জেরে সোমবার থেকে ব্যাহত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। তবে ব্যাঙ্কে গিয়ে পরিষেবা না মিললেও অনলাইন ব্যাঙ্কিং চালু রয়েছে। এদিকে ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন গুলির অভিযোগ, কিছুদিন আগেই পেশ করা বাজেটে কয়েকটি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিক কোন ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে, সেগুলির নাম জানানো হয়নি।
ঠিক কোন জায়গায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা
আর ঠিক এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। সরকারের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় আসন্ন ভবিষ্যতে গোটা ব্যাঙ্কিক শিল্প ক্ষেত্রেই চরম মন্দা দশা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন ব্যাঙ্কিং কর্মীরা। এমনকী এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ন্যূনতম আলোচনাও করেনি সরকার। ধর্মঘটীদের বক্তব্য এই বেসরকারিকরণে সঞ্চিত অর্থে আর গ্যারান্টি থাকবে না। বিপাকে পড়বেন সমস্ত গ্রাহক।
তৃণমূলের দুয়ার কি ফের শোভনের জন্য খুলে দেবেন মমতা? নাকি কড়া নাড়বেন অন্য কোথাও