উষ্ণ অভ্যর্থনা, শিনজো আবের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে কোথায় খাবেন, কোথায় যাবেন তা নিজে ঠিক করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাঁর অভ্যর্থনায় অভিভূত শিনজো আবেও।
এর থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা আর কী হতে পারে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে কোথায় খাবেন, কোথায় যাবেন তা নিজে ঠিক করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভ্যর্থনায় অভিভূত শিনজো আবেও। বিমানবন্দরে নেমে সময় নষ্ট না করেই বেরিয়ে পড়লেন মোদীর সঙ্গে। অবশ্য তার আগে একটা কাজ সারতে হয়েছে আবে ও তাঁর স্ত্রীকে। তা হল একেবারে ভারতীয় পোষাকে নিজেদের সাজিয়ে তোলা।
পায়জামা -পাঞ্জাবির সঙ্গে মোদী জ্যাকেটে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী সালওয়ার কামিজ পরেই বেরিয়ে পড়লেন গুজরাতের রাস্তায়। আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে সাবরমতি আশ্রম পর্যন্ত মোদীর সঙ্গেই হুডখোলা জিপে রোড-শো করলেন। এই রোড শো যে তিনি উপভোগ করছেন তা বোঝা গেল শিনজো আবের চোখেমুখেই। সাবরমতি আশ্রমের পথে বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানাতে আয়োজনের খামতি ছিল না। গোটা রাস্তা জুড়েই দেশের প্রায় সব রাজ্যের লোকশিল্পীরা নাচ-গান করলেন।
সাবরমতি আশ্রম থেকে আবে ও তাঁর স্ত্রী যান 'সিদি সইয়দ নি জালি'-তে। ষোড়শ শতাব্দীর এই ঐতিহাসিক মসজিদে ফের তাঁদের সঙ্গে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে কিছুক্ষণ কাটানোর পর তাঁরা চলে যান আগাশিয়ে রেস্তোরাঁয়। সেখানে গুজরাট ও জাপানি খানা-পিনার আয়োজন করতে আগে থেকেই 'হুইপ' জারি করা হয়েছিল।
জাপানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে চতুর্থবার ভারত- জাপান সম্মেলন হচ্ছে। কখনও মোদী জাপান যাচ্ছেন আবার কখনও শিনজো আবে ভারতে আসছেন। ফলে জাপানের সঙ্গে কূটনীতি ব্যক্তিগত স্তরেই নিয়ে যেতে চাইছেন মোদী। আর তাতে যে লাভ হচ্ছে না তা নয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে যেমন ভারতকে সমর্থন করছে জাপান, তেমনই এনএসজি বা নিউক্লিয়ার সাপলায়ার্স গ্রুপে ঢুকতেও জাপানের সমর্থন মিলেছে।