জোট সরকারকে উচিত শিক্ষা দিতে চাই, আস্থা ভোটের আগে বললেন বিদ্রোহী বিধায়করা
কাল ফের অগ্নিপরীক্ষা কর্নাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের। কী হবে আস্থাভোটে প্রহর গুণছে রাজনৈতিক মহল। গতবারের চরম নাটকীয় পরিস্থিতি সোমবার ফের তৈরি হবে কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।
কাল ফের অগ্নিপরীক্ষা কর্নাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের। কী হবে আস্থাভোটে প্রহর গুণছে রাজনৈতিক মহল। গতবারের চরম নাটকীয় পরিস্থিতি সোমবার ফের তৈরি হবে কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে এবার যে আর রাজ্যপালের নির্দেশ অমান্য করা যাবে না সেটা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন কুমারস্বামীরা। বিজেপিও মরণ কামড় দিতে উদগ্রীব। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারে ফুটছে কর্নাটকে। এদিকে এই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আস্থা ভোটে অংশ নিচ্ছেন না বিদ্রোহী বিধায়করা। তঁারা যেন গ্যালারিতে বসে ক্লাইম্যাক্সের অপেক্ষা করছেন। রাতারাতি যে বরফ গলবে না সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিদ্রোহী বিধায়কদের বক্তব্যেই। আস্থা ভোটের আগের তিন তাঁরা জানিয়েছেন, 'আমরা শুধু কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারকে উচিত শিক্ষা দিেত চাই। দল বদলের কোনও ইচ্ছেই আমাদের নেই। সবকিছু মিটে গেলেই আমরা ফের বেঙ্গালুরু ফিরে যাব বলে জানিয়েছেন তাঁরা।'
বিদ্রোহীদের বক্তব্যই স্পষ্ট করে দিচ্ছে কী হতে চলেছে সোমবার। কোনওভাবেই যে তাঁরা আপোসের পথে হাঁটবেন না একথা স্পষ্ট। বিজেপি সেই সু্যোহ পুরোপুরি নেওয়ার চেষ্টা করবে। এদিকে বহুজন সমাজপার্টির বিধায়ক এন মহেশ জানিয়েছেন, আস্থা ভোটে তিনি অংশ নেবেন না। দলের নেত্রী নাকি এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই সেদিন তিনি ব্যক্তিগত কাজে ভীষণভাবে ব্যস্ত থাকবেন। কাজেই সমাজবাদী পার্টির যে ভোটটি কুমারস্বামী আশা করেছিলেন সেটিও আর পাওয়া হল না। কাজেই আস্থাভোট হলে জোট সরকার যে হারছেই সেকথা আজ বুঝতে বাকি নেই বিজেপির। তাই আগামীকাল কোমর বেঁধেই নামবে বিজেপি।