এমএসপি নিয়ে চাই নতুন আইন, কেন আলোচনায় বসছে না সরকার? বনধের আবহেই ফের প্রশ্ন টিকাইতের
এমএসপি নিয়ে চাই নতুন আইন, কেন আলোচনায় বসছে না সরকার? বনধের আবহেই ফের প্রশ্ন টিকাইতের
বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে আগেই বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেম কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। এই ইস্যুতে চলা ভারত বনধের দিন বাড়ালেন হুঁশিয়ারির ঝাঁঝ। তীব্র কটাক্ষবান শানালেন বিজেপি সরকারের দিকে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আঙিনায়। পাশাপাশি ফের দিলেন আলোচনার বার্তাও।
ফের আলোচনার বার্তা
টিকাইত বলেন, কৃষকরা সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য বরাবরই রাজি। তবে আগের মতো কোনও শর্তাধীন আলোচনা হবে না। তিনি বলেন, "সরকার আমাদের সঙ্গে কথা বলছে না কেন? আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভের রাস্তা থেকে পিছু হটব না।" সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "এমএসপি -র গ্যারান্টির জন্য সরকারকে অবশ্যই একটি নতুন আইন নিয়ে আসা উচিত। একজন কৃষক এমনকি তার পঞ্চাশ কুইন্টাল পণ্যও বিক্রি করতে পারে না কিন্তু একজন ব্যবসায়ী যত খুশি বিক্রি করতে পারে। এই কথা কেউ ভাবছে না। সরকার আসলে দেশের ফসল নিজেদের দখলে রাখতে চাইছে।"
চরমে ওঠে যাত্রী দুর্ভোগ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার ৪০টি কৃষক সংগঠনের ডাকে এই বনধ চলে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। বনধের ভালো প্রভাব পড়ে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা সহ অন্যান্য রাজ্যেও। দক্ষিণে শাসক সিপিএম বনধে পূর্ণ সমর্থন জানানোয় ভালো প্রভাব পড়েছে কেরলে। পুরো দস্তুর বনধ হয়েছে রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যেগুলিতেও। বনধের প্রভাব পড়েছে দেশের পরিবহন ব্যবস্থার উপরেও। ফলে চরমে ওঠে যাত্রী দুর্ভোগ
প্রয়োজনে ১০ বছর চলবে আন্দোলন
এদিকে যাত্রী দুর্ভোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেই কথা এড়িয়ে যান টিকাইত। তাঁর দাবি মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই বনধে সামিল হয়েছে। দু-এক জায়গায় সমস্যা হয়েই থাকতে পারে। এদিকে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন অবিলম্বে ফিরিয়ে না নিলে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন কৃষকরা। রবিবার এভাবেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। এবার সোমবারও ফের আওয়াজ তুললেন তিনি। এমনকী প্রয়োজনে ১০ বছরও আন্দোলন জারি রাখবে কৃষকেরা, এমনটাই দাবি রাকেশের।
কারা করল সমর্থন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে ডাকা বনধে সমর্থন জানা কংগ্রেস, সিপিএম, আরজেডি-র মতো বড় বিরোধী দলগুলি। সমর্থন জানায়সিপিআই এম-এল (লিবারেশন), সিপিআই(এম) নিউ ডেমোক্রেসি, এস ইউ সি আই(সি), এম সিপিআই (ইউ), আপ, টিডিপি, জেডিএস, বিএসপি, এনসিপি, ডিএমকে, ওয়াইএসআরসিপি-র মতো রাজনৈতিক দল দলগুলিও।