রোলস রয়েস, বিমান সহ ১৮টি সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাঙ্কের ঋণশোধের আবেদন ওয়াধাওয়ানদের
পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের আর্থিক দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত রাকেশ ওয়াধাওয়ান ও তার ছেলে সারাঙ্গ ওয়াধাওয়ান নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ শোধের আবেদন জানাল।
পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের আর্থিক দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত রাকেশ ওয়াধাওয়ান ও তার ছেলে সারাঙ্গ ওয়াধাওয়ান নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ শোধের আবেদন জানাল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, অর্থমন্ত্রী নীর্মলা সীতারমন ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে এই আবেদন জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট সংস্থা এইচডিআইএলের এই দুই প্রোমোটার। বাবা-ছেলের বিক্রি করতে চাওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে চোখ ধাধানো সব গাড়ি, বিমান, ইয়ট ও স্পিড বোট।
আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকা রাকেশ ও সারাঙ্গের সমস্ত সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সরকার ও তদন্তকারীদের লেখা চিঠিতে ওয়াধাওয়ানরা তাদের বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে ১৮টিকে বিক্রি করার অনুমোদন চেয়েছে। এই ১৮টি সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে - রোলস রয়েস ফ্যান্টম, বেন্টলে কন্টিনেন্টাল, বিএমডাব্লু ৭৩০ এলডি, অ্যাম্বাসাডর গাড়ি। রাকেশের ছেলে সারাঙ্গের বিক্রি করতে চাওয়া সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে - একটি ফ্যালকন ২০০০ বিমান, অডি এডি গাড়ি, একটি ফেরেট্টি৮৮১ ইয়ট, দুটি বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি, তিনটি কুয়াড বাইক, একটি ডলফিন সুপার ডিলাক্স স্পিডবোট।
এদিকে অন্য একটি চিঠিতে রাকেশ ও সারাঙ্গ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। তারা লিখেছে, "এফআইআর নং ৮৬/২০১৯-এ করা অভিযোগ আমরা সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করছি। তবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে এবং ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের কথা ভেবে আমরা আমাদের বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির কয়েকটিকে বিক্রি করতে চেয়ে অনুমোদন চেছিলাম। সম্পত্তির একটি তালিকা সমেত একটি করে চিঠি আমরা অর্থমন্ত্রকে (৩০ সেপ্টেম্বর), এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (১ অক্টোবর) ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে (৩ অক্টোবর) পাঠিয়েছি। এই বিষয়ে আমরা তাদেরকে যত শীঘ্র সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদনও জানাই।"
প্রসঙ্গত, পিএমসি ব্যাঙ্কে জমা থাকা আমানতকারীদের অর্থের ৭০ শতাংশ টাকাই এইচডিআইএলকে ঋণ হিসাবে দিত ব্যাঙ্কটি। এইচডিআইএল সেই ঋণ সময়ে না শোধ করতে পারাতেই বিপাকে পড়ে পিএমসি ও তার আমানতকারীরা। এদিকে এইচডিআইএলকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম ভঙ্গ করেছে ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ। সেই তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান জয় থমাসকে।