অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ, সরব ব্যাপমকাণ্ডের পর্দাফাঁসকারী
সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা বা নিট পরীক্ষায় যথেচ্ছ জালিয়াতি হয়েছে, অভিযোগ আনন্দ রাইয়ের।
মধ্যপ্রদেশের মেডিক্যাল প্রবেশিকা জালিয়াতি তথা 'ব্যাপম' কাণ্ডের পর্দা ফাঁস করে দেশে শোরগোল ফেলে ছিলেন ডাক্তার আনন্দ রাই। এবার তিনিই অভিযোগ তুললেন, সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা বা নিট পরীক্ষায় যথেচ্ছ জালিয়াতি হয়েছে।
আনন্দ রাইয়ের তোলা অভিযোগ অনুযায়ী প্রায় ৫০০ জন পরীক্ষার্থী এই জালিয়াতিতে যুক্ত রয়েছেন। ডাক্তারর আনন্দ রাইয়ের দাবি, দেশের ৬টি জায়গা তিনি চিহ্নিত করেছেন যেখানে নিট পরীক্ষা চলাকালীন কারচুপি হয়েছে। সেখানে পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতি করেছে বলে তিনি সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন। এই জায়গাগুলি হল দিল্লি, নয়ডা, চন্ডীগড়, লখনউ, ভুবনেশ্বর , রাঁচি । তিনি এই কারচুপির সঙ্গে তুলনা করেছেন ব্যাপমকাণ্ডেরও।
তাঁর দাবি গত, ৬ মাস ধরে পুলিশ কেবলমাত্র নয়ডা ও চণ্ডীগড়ের ২ টি সেন্টারেই তদন্ত চালিয়েছে। বাকি সেন্টারগুলি নিয়ে কেন কোনও তদন্ত হচ্ছে না এই প্রশ্নও তুলেছেন আনন্দ রাই। উল্লেখ্য বর্তমানে এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পরীক্ষার অনলাইন টেস্টের সময় চলা জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে চলছে তদন্ত।
আনন্দ রাইয়ের অভিযোগ,'শেয়ার -ইন' সফটওয়্যারকে ব্যবহার করে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে। তদন্তের নামে প্রহসন করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, সর্বাভারতীয় নিট প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক প্রথম থেকেই ছিল। বাংলা, গুজরাত সহ একাধিক রাজ্যের অভিযোগ ছিল যে সেই সমস্ত রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইংরাজির থেকে তুলনামূলক কঠিন করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সরব হন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠিও পাঠানো হয় রাজ্যের তরফে। তবে এবার সেই পরীক্ষায় বড় জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় , পরীক্ষা আয়োজনরে স্বচ্ছতা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।