
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, কত ভোট পড়ল দ্রৌপদী বনাম যশবন্তের লড়াইয়ে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হল। দ্রৌপদী মু্মু বনাম যশবন্ত সিনহার লড়াইয়ে এবার ফল ঘোষণার অপেক্ষা। ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা জানা যাবে ২১ জুলাই। শান্তিপূর্ণভাবেই সংসদ ভবনে এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় ভোটগ্রহণ করা হয়। এই লড়াইয়ে মোট ৯৮.৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হল। দ্রৌপদী মু্মু বনাম যশবন্ত সিনহার লড়াইয়ে এবার ফল ঘোষণার অপেক্ষা। ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা জানা যাবে ২১ জুলাই। শান্তিপূর্ণভাবেই সংসদ ভবনে এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় ভোটগ্রহণ করা হয়। এই লড়াইয়ে মোট ৯৮.৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
প্রধান রিটার্নিং অফিসার পিসি মোদী জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট পড়ল। সিংহভাগই ভোট দিয়েছেন এদিনের নির্বাচনে। সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা থেকে ব্যালট বক্স এবার সংসদ ভবনে পৌঁছবে। সড়ক ও আকাশপথে তা পৌঁছবে সংসদ ভবনে। ওই ব্যালট বক্সের সঙ্গে থাকবেন সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা।
ভারতের নির্বাচন কমিশন সংসদ ভবনে উপস্থিত হয়ে ভোটদানের অনুমতি দিনে ৭৩৬ জন নির্বাচককে। মোট ৭২৭ জন সাংসদ ও ৯ জন বিধায়ক সংসদ ভবনে ভোটদানের অনুমতি পান। তাঁদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৭৩০ জন। মোট ৭২১ জন সাংসদ ও ৯ জন বিধায়ক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অর্থাৎ ৬ জন সাংসদ ভোটদানে বিরত থাকেন।
সূত্রের খবর, বিজেপিরই ৬ জন ভোট দেননি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সানি দেওল। আরও ৫ জন ভোটদানে বিরত থাকেন। ভারতেকর ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদ সদস্য এবং বিধায়কদের ভোট দেন সংসদ ভবন ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে। সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। আর শেষ হয় পাঁচটায়। ১০টায় ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার পর প্রথম ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২১ জুলাই এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গণনা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সংসদ ভবনে ভোটদান করেন। সংসদের বাদল অধিবেশন এদিনই শুরু হয়েছে। তার আগে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রত্যেক সাংসদ। এরপর পার্লামেন্টে সকলকে খোলা মনে আলোচনা চালানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্য বিধানসভাগুলিতেও ভোট গ্রহণ করা হয়। বাংলার বিধানসভায় বিধায়করা ছাড়াও বাংলার সাংসদরা ভোট দেন। ২৯৪ জন বিধায়কের মধ্যে বাংলার মোট ২৯১ জন বিধায়ক ভোট দান করেছেন। তিন জন ভোটদানে বিরত ছিলেন। তার মধ্যে আইএসএফের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি ভোট দেননি। ভোট দেননি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রফিকুল ইসলাম এবং সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে একজন বিধায়ক এমনিতেই কম ছিলেন।