ভোটের দিনও কর্ণাটকে উড়ছে টাকা, নাকের নথ
নির্বাচন কমিশন নানা পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও কর্ণাটকের ভোটে ভোটারদের মধ্যে অর্থ বিলির অভিযোগ উঠছে।
একদিকে যেমন কর্ণাটকের বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে ভোটার দের মধ্যে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, তেমনই ইতিমধ্যেই ভোট কেনা বেচার অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে।
শনিবার সকালে, কোলার গ্রামের এক কেন্দ্রে মহিলা ভোটারদের প্রভাবিত করতে, নাকে পরার নথ বিলি করার অভিযোগ আসে। খবর পেয়ে কোলার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বেলা বাড়তে আবার মালুর বিধানসভা কেন্দ্রের মস্তিতে এক ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে অর্থ বিলি করার খবর পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অভিযোগ, ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পর ভোটারদের নগদ অর্থ দিচ্ছিল এক ব্যক্তি। তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলে পুলিশ। কিন্তু কী তার পরিচয়, কার হয়েই বা তিনি ওই নগদ বিলি করছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ওই ব্যক্তির গায়ে গেরুয়া জামা ছিল, এবং গলায় গেরুয়া-সবুজ উত্তরিয়। ভোটকেন্দ্রে নিযুক্ত নির্বাচনী কর্মকর্তারা এবং পুলিশ এব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
ভোটের আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্ণাটক রাজ্যের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল সোনা-রূপো ও নগদ মিলিয়ে মোট ১৫২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কমিশন। এর মধ্যে নগদ ছিল ৬৭ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার। পাশপাশি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বেআইনি মদও। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৩ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। তবে কোথা থেকে এসব মিলেছে, কারা ব্যবহার করছিল কিছুই বিশদে জানানো হয়নি।
তারও আগে তামিলনাড়ুতে ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসায় দুটি আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করতে হয়েছিল। ২০১৬-য় ওই একই রাজ্যে ভোটের সময় ৫৭০ কোটি টাকা সমেত ৩টি ট্রাক বাজেয়াপ্ত করেছিল নির্বাচন কমিশন। যে টাকার কোনও দাবিদার ছিল না। পরবর্তীকালে অবশ্য স্টেট ব্যাঙ্ক ওই টাকা তাদের বলে জানিয়েছিল। কিন্তু তাতেও সব উত্তর মেলেনি। উত্তরের রাজ্য পঞ্জাবে গত বিধানসভার ভোটের সময় ভোটাদের মদের টোকেন বিলি করা হয়েছিল। সে খবরও জানাজানি হয়ে গিয়েছিল।