
আধারের পথেই ডিজিটাল হচ্ছে ভোটার কার্ড, কীভাবে পাবেন ই-এপিক জেনে নিন
আধার কার্ড ডিজিটালাইজেশন হয়ে গিয়েছে আগেই। এবার আধারের পথেই হাঁটতে চলেছে ভোটার কার্ড। ভোটার কার্ড ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। তাই এবার সহজলভ্য হবে এপিক কার্ড বা ভোটার আইডেন্টিটি কার্ড। নিমেষের মধ্যেই ডাউনলোড করতে পারবেন ই-এপিক কার্ড। ফলে পকেটে নিয়ে ঘোরার ঝক্কি, হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, সব কিছুই বাই বাই। ভুলে গেলেও আপনি সহজে ওয়েবসাইটে গিয়ে ডাউনলোড করে নিয়ে পারবেন এপিক কার্ড।

ই-এপিক কার্ড করতে উৎসাহ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা ই-এপিক কার্ড তৈরির জন্য আর্জি জানিয়েছেন। তাঁরা উৎসাহ দিচ্ছেন ই-এপিক কার্ড বানানোর জন্য। তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রচার। নির্বাচন কমিশন চাইছে এবার অনলাইনে ভোটার কার্ড পাক দেশরে মানুষ। সেজন্য কয়েকটি পদক্ষেপই যথেষ্ট।

কীভাবে ডাউনলোড করবেন এপিক কার্ড
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার এক বার্তায় বলা হয়েছে, ই-এপিক কার্ড পাওয়া যাবে সহজ পদ্ধতিতে। সেগুলি হল-
• প্রথমে ন্যাশনাল ভোটার সার্ভার্স পোর্টাল-এ ঢুকতে হবে। কিংবা https://www.nvsp.in ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে।
• পোর্টালে গিয়ে রেডিস্টার বা লগ ইন করতে হবে।
• তারপর নির্দিষ্ট স্থানে এপিক নম্বর বা জমা দেওয়া ফর্ম রেফারেন্স নম্বরটি লিখতে হবে।
• রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে আসবে একটি ওটিপি নম্বর বা ওয়ান টাইপ পাসওয়ার্ড।
• ওটিপি নম্বর দেওয়ার পরই ডাউনলোড অপশন দেখাবে।
• আপনি এপিক কার্ড বা ভোটার কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
• এরপর প্রিন্ট আউট বের করে নিলেও ই-এপিক কার্ড আপনি হাতে পেয়ে যাবেন মাত্র কয়েক মিনিট।

কী সুবিধা এই ই-এপিক কার্ডের
আপনার বাড়িতেই তো রয়েছে ভোটার কার্ড বা এপিক কার্ড। তাহলে ই-এপিক কার্ড আবার কেন? প্রশ্ন জাগতেই পারে অনেকের মনে। এই ই-এপিক কার্ডের বেশ কতকগুলি সুবিধা রয়েছে। যেমন-
• এই ই-এপিক কার্ড অর্থাৎ ডিজিটাল ভোটার কার্ড আপনি পেয়ে যাবেন দ্রুত।
• সবসময় আপনাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হবে না ভোটার কার্ড বা এপিক কার্ড।
• এই ই-এপিক কার্ড আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে থেকে যাবে।
• যখন ইচ্ছা প্রিন্ট আউট বের করে নিতে পারবেন।
• যখন ইচ্ছা মোবাইল থেকে বের করে আপনি দেখিয়ে দিতে পারবেন। এপিক নম্বর দেখে নিতে পারবেন।
• ভোটার আইডেন্টিটি কার্ড বা এপিক কার্ড হারিয়ে গেলেও চিন্তার কোনও কারণ থাকবে না।
• ভোটার আইডি কার্ড যত্ন করে রখে দেওয়া ল্যামিনেট করা বা সুরক্ষা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকবে না।
• কার্ড যখন ডিজিটাল তখন পুরনো বা নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়ে ঝুঁকির অবকাশও থাকবে না আর।

এবার ভোটার আই কার্ড ডিজিটাল হচ্ছে
আধার কার্ড তো আগেই ডিজিটাইলাইজেশন হয়ে গিয়েছে। এবার ভোটার আই কার্ড ডিজিটাল হচ্ছে। এরই সহ্গে আধার কার্ডের ভার্চুয়াল ফরম্যাটও দিচ্ছে আধার অথোরিটি। ভার্চতুয়াল আধার আইটি তৈরি হয়েছে ১৬ ডিজিটের নম্বর দিয়ে। UIDAI-এর ওয়েবাসাইট থেকে তৈরি করা যায় ভার্চুয়াল আধার কার্ড।

ভার্চুয়াল আধার কার্ডের গুরুত্বই বা কী
• ভার্চুয়াল আধার কার্ডের নম্বর আপনি আধার কার্ডের পরিবর্তে নিজের কাছে রাখতে পারেন।
• সব ধরনের ব্যাঙ্কিং সম্পর্কিত সুবিধা এই কার্ডের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
• এই ভার্চুয়াল কার্ডের মেয়াদ মাত্র একদিনের থাকে। তবে গ্রাহক অন্য কোনও ভার্চুয়াল আইডি তৈরি না করা পর্যন্ত এর মেয়াদ ফুরোয় না। বর্তমানে আধারের ভার্চুয়াল আইডির কোনও মেয়াদকাল নেই।

ভোটার কার্ডেও ডিজিটালাইজেশন নতুন দুয়ার খুলে দিল
এর আগে নতুন ভোটার কার্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হত। কবে ভোটার কার্ডের আবেদন জমা নেওয়া হবে, কবে তা আসবে বিডিও অফিস হয়ে। এবার সেই অপেক্ষায় থাকতে হবে না। আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পর সেই নম্বর থেকেই নতুন এপিক কার্ড বের করে নেওয়া যাবে। আধারের পর ভোটার কার্ডেও ডিজিটালাইজেশন নতুন দুয়ার খুলে দিল।