কথা না রাখলে চপেটাঘাত করবেন, ভোট প্রচারে চপ্পল বিলি প্রার্থীর, ছবি ভাইরাল
ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা। আর ভোট ফুরোলে তা আর মনে রাখেন না কোনও বিজয়ী প্রার্থীই। ভোট আসে ভোট যায়, এই ধারণার আর বদল হয় না।
ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা। আর ভোট ফুরোলে তা আর মনে রাখেন না কোনও বিজয়ী প্রার্থীই। ভোট আসে ভোট যায়, এই ধারণার আর বদল হয় না। এবার কিন্তু সেই ধারণার বদল করেই ছাড়বেন প্রার্থী। পণ করেছেন তিনি, তাই ভোট প্রচারে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন প্রার্থী। তাঁর অভিনব প্রচারে বিলি করছেন জুতো।
ইস্তাহার আর জুতো বিলি প্রার্থীর
সম্প্রতি তেলেঙ্গানায় নির্দল প্রার্থীর এই প্রচার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে। নির্দল প্রার্থী আকুলা হনুমন্ত ভোটারদের দোরে দোরে যাচ্ছেন জুতো হাতে। ভোটারের দরজায় গিয়ে তিনি একটা জুতোর প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন। আর দিচ্ছেন ইস্তাহার। সেই ইস্তাহারে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা রাখতে না পারলে ওই জুতো দিয়েই তাঁর পিঠে মারবেন। এমনই বার্তা দিচ্ছেন প্রার্থী।
অন্যদেরও অনুসরণের বার্তা
ভোটবাক্সে উতরে গেলে কে আর মনে রাখে ভোটারদের। এটাই ধ্রুবসত্য হয়ে উঠেছে। সেই ধারণায় বদল আনার বার্তাও দিচ্ছেন তিনি। আকুলা হনুমন্ত বলছেন, ভোটে জিতলে তিনি সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে দেখাবেন। আর প্রতিশ্রুতি না রাথে চপ্পল পেটা করবেন। এর পরই সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই রাজনীতিবিদদের এই পন্থা অনুসরণের পরামর্শও দিয়েছেন।
|
তেলেঙ্গানায় অকাল ভোটে অভিনব প্রচার
দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে এবার অকাল ভোট নেমে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও আগেই ভেঙে দিয়েছেন মন্ত্রিসভা। আর এবার রাজ্যে পরিবর্তন আনতে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। নামিদামি প্রার্থীরা ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন। প্রচার চলছে জোরদার। সেইসব প্রচারের মধ্যেও একেবারে নিজেকে স্বতন্ত্র করে তুলেছেন আকুলা হনুমন্ত।
জুতো পেটা খেতেও দ্বিধা নেই
নির্দল প্রার্থী আকুলা। দাঁড়িয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির বিদ্যাসাগর রাওয়ের বিরুদ্ধে। জাগতিয়াল জেলার করুটলা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন হনুমন্ত। তিনি এবার যে কায়দায় প্রতিশ্রুতি বাণ ডেকেছেন, তাতে চিন্তার ভাঁজ বিপক্ষের কপালে। কথা না রাখলে চপ্পল দিয়ে মার খেতেও দ্বিধা করবেন না তিনি।
মেট্টুপল্লি শহরে ভোট প্রচারে
তেলেঙ্গানার মেট্টুপল্লি শহরে ভোট প্রচারে গিয়ে আকুলা হনুমন্ত বলেন, যাঁরা ভোট দেন, তাঁরা ভগবান সমান। প্রতিশ্রুতি না রাখতে পারলে চপেটাঘাত করার সম্পূর্ণ অধিকার তাঁদের আছে। কাজ না করলে জনতার রোষ মেনে নিতেই হবে প্রার্থীদের। স্বয়ং প্রার্থীই দেখাচ্ছেন সেই যুক্তি। অসম লড়াইয়ে নেমে, যেটা করার সেটাই করছেন এই প্রার্থী।