জেলবন্দি শশীকলার মতো শেষ জীবনে বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে এম নটরাজনেরও
নটরাজনকে শেষ বয়সে এসে বিতর্কের সঙ্গী হতে হয়েছে। গত অক্টোবরে নটরাজনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়। তা নিয়েই বিতর্ক হয়।
শারীরিক সমস্যাজনিত কারণে ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন এম নটরাজন। তিনি জেলবন্দি এআইএডিএমকে-র বহিষ্কৃত নেত্রী শশীকলা নটরাজনের স্বামী। চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শশীকলা স্বামীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে সম্ভবত বেঙ্গালুরুর জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চেন্নাই যাবেন।
নটরাজনকে শেষ বয়সে এসে বিতর্কের সঙ্গী হতে হয়েছে। গত অক্টোবরে নটরাজনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়। লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন করেন। তিনি একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ায় ভুগছিলেন। অভিযোগ ছিল, বছর ১৯-এর এক দিনমজুর যুবককে ধরে আনা হয় থাঞ্জাভুর থেকে। এক বেসরকারি হাসপাতালে তারপরে সেই যুবকের কিডনি ও লিভার জোর করে প্রতিস্থাপন করে নটরাজনের দেহে বসানো হয়।
সেই ঘটনার আগেই রহস্যজনকভাবে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে কার্তিক নামে ওই যুবক মারা যান। তার পরিবার কিডনি ও লিভার নটরাজনকে দিতে রাজি হয়ে যান। চিকিৎসকেরা তারপরে সাতঘণ্টা অপারেশনের পর নটরাজনের দেহে দুটি অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেন।
গোটা ঘটনা যেভাবে ঘটেছে তাতে সমাজকর্মীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন। বেনিয়ম করে প্রভাব খাটিয়ে যুবকের দেহ থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এক দিনমজুরের পরিবার কীভাবে থাঞ্জাভুরের সরকারি হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসবে ও কিছুক্ষণ পর মারা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও পরে সেই অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যায়। শশীকলা জেলে থাকায় ও নটরাজন অসুস্থ থাকায় তা নিয়ে খুব বেশি জলঘোলা হয়নি।