লড়তে পারবেন না, তাও তামিলনাড়ুর নির্বাচনে মুখ্যচরিত্রে 'চিন্নাম্মা' শশীকলা
শশীকলার প্রত্যাবর্তন তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে যথেষ্ঠ প্রভাব ফেলেছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই এআইএডিএমকের পতাকা লাগানো গাড়িতে তামিলনাড়ুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন শশীকলা। এতেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। এদিকে এআইডিএমকে শশীকলার অনুাগমীদের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুতে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তোলে।
শশীকলা ও তাঁর আত্মীয়দের ১৮৭টি বাড়িতে হানা ও সাজা
২০১৭ সালে আয়কর দপ্তর শশীকলা ও তাঁর আত্মীয়দের ১৮৭টি বাড়িতে হানা দিয়েছিল। প্রায় ১৪৩০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শশীকলা ও তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার বছরে কারাদণ্ড দেওয়া হয় শশীকলা ও তাঁর দুই আত্মীয়কে। সেই সময় তিনি তামিল সরকারের মসনদে 'বসিয়ে' দিয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পালিনিস্বামী। যদিও পালিনিস্বামী সেই কথা মানতে নারাজ।
কয়েকদিন আগেই ছাড়া পান জয়ললিতার 'প্রিয় বান্ধবী' শশীকলা
২৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় সাজার মেয়াদ শেষ করে ছাড়া পান জয়ললিতার 'প্রিয় বান্ধবী' শশীকলা। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধাীন ছিলেন তিনি। এরপর ৩১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান শশীকলা। এর পর কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তিনি। এরপর নিজের বাসভবনে পৌঁছাতেই পুষ্প বৃষ্টি করে তাঁকে বরণ করে নেন অনুরাগীরা। যেন বুঝিয়ে দেন, ফিরেছি শীর্ষস্থান দখল করতেই।
দলের শীর্ষস্থানটি দখল করেছিলেন শশীকলা
জয়ললিতার মৃত্যুর পর দলের শীর্ষস্থানটি দখল করেছিলেন তাঁর প্রিয় বান্ধবী শশীকলা। কিন্তু এরপরেই দুর্নীতির মামলায় তাঁকে জেলে যেতে হয়। চার বছর জেলে থাকার পরে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। জেলে যাওয়ার আগেই ২০১৭ সালে পালানিস্বামী ও পনিরসেলভামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন শশীকলা। দাবি, তাঁরা দলের শীর্ষপদ শশীকলাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। জেল থেকে বেরোনর পর তিনি আদালতে নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন। ওই মামলার শুনানি হবে ১৫ মার্চ।
সমাধান সূত্র হয়ত বের হবে সেই আদালতেই
গত জানুয়ারিতে পালানিস্বামী বিজেপির সঙ্গে একদফা বৈঠকের পরে ঘোষণা করেন, শশীকলাকে আর দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। কিন্তু শশীকলা জেল থেকে বেরোনর পরে পালানিস্বামী তাঁর সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। বরং তিনি শশীকলার ভাইপো টি টি ভি দীনাকরণের সমালোচনা করেন। অনেকের ধারণা হয়েছিল, পালানিস্বামী শশীকলার সঙ্গে একটা বোঝাপড়া করে নিতে চান। তবে যা পরিস্থিতি, তাতে সমাধান সূত্র হয়ত বের হবে সেই আদালতেই।