ভারত-মার্কিন সম্পর্কে চিড়? আমেরিকার কংগ্রেসের পরামর্শদাতাদের ভিসা না দেওয়া চরমে জল্পনা
প্রথমে এনআরসি পরবর্তীতে সিএএ, উভয় ক্ষেত্রেই আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা-সম্পর্কিত কমিশন দাবি করেছিল যে এগুলোতে ভারতীয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হয়েছে। এরপর গড়িয়েছে অনেক জল। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আমেরিকা সফরে গিয়ে এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
মার্কিন রিপোর্টকে ভালো ভাবে নেয়নি ভারত
তবে ভারত যে সেই রিপোর্টকে ভালো ভাবে নেয়নি, তা পদে পদে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের আমেরিকা সফরকালে মার্কিন কংগ্রেসর সদস্য প্রমীলা জয়পালের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা থাকলেও সেই বৈঠক বাতিল করা হয়। সেই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, 'আমার মনে হয় না তাঁর প্রকাশ করা কাশ্মীর বিষয়ক রিপোর্টটি জম্মু ও কাশ্মীরের আসল পরিস্তিতির প্রতিচ্ছবি না। আমার তাঁর সঙ্গে দেখা করার কোনও ইচ্ছে নেই।'
মার্কিন কংগ্রেসের পরামর্শদাতাদের ভারতে আসার ভিসা দেওয়া হল না
আর এবার মার্কিন কংগ্রেসকে উপদেশ দেওয়া বেসরকারি সংস্থার পরামর্শদাতাদের ভারতে আসার ভিসা দেওয়া হল না। প্রসঙ্গত, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা-সম্পর্কিত কমিশন জানিয়েছিল, সিএএ-তে নাগরিকত্ব দিতে ওই বিলে যে মানদণ্ড বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা খুবই বিপজ্জনক।
এর আগে বিড়ম্বনায় পড়ে বিজেপি সরকার
বিজেপি সরকারকে বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে এহেন রিপোর্ট। এক বিবৃতিতে ইউএসসিআইআরএফ জানিয়েছইল, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে বিল সংসদে পেশ করেছেন, তাতে ধর্মীয় মানদণ্ড বেঁধে দেওয়ায় ইউএসসিআইআরএফ উদ্বিগ্ন। বিলটি আইনে পরিণত হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সে দেশের শীর্ষ নেতাদের ওপর মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
মার্কিন রিপোর্টকে খারিজ করে ভারত
ইউএসসিআইআরএফের বিবৃতি এবং দাবির খবর জানামাত্রই ভারতের বিদেশমন্ত্রক সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানায়, মার্কিন সংগঠনের ওই অভিযোগ উদ্বেগজনক ও দুঃখজনক। বলা হয়, ওই সংগঠনের অতীত এমনই। তাই ভারত খুব একটা আশ্চর্য হয়নি। ওরা সংস্কার ও পক্ষপাতকে গুরুত্ব দিয়ে সেই বিষয়ের ওপর নিজেদের রায় জানাচ্ছে, যে সম্পর্কে তাদের খুব ভালো একটা ধারণাই নেই।
বালাকোট অভিযানের স্মৃতি উস্কে দিয়ে যুদ্ধবিমানের গর্জন পাক আকাশসীমায়! আতঙ্কে ঘুম ভাঙল করাচির