নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হিংসাত্মক আন্দোলন অত্যন্ত পীড়াদায়ক, টুইট মোদীর
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে এবার প্রায় গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন। অধিকাংশ জায়গাতেই সেই আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নিয়েছে।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে এবার প্রায় গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন। অধিকাংশ জায়গাতেই সেই আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নিয়েছে। ট্রেন-বাস পোড়ানো, পথ অবরোধ চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন আন্দোলকারীরা। এই ধরনের হিংসাত্মক আন্দোলন অত্যন্ত পীড়াদায়ক বলে সোমবার প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদীর টুইট
সোমবার টুইট করে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হিংসাত্মক আন্দোলনের সমালোচনা করেছেন তিনি। মোদী টুইটে লিখেছেন এই ধরনের হিংসাত্মক আন্দোলন অত্যন্ত পীড়াদায়ক। গণতন্ত্রে প্রতিবাদের একাধিক পথ রয়েছে। আলোচনা, সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক। কিন্তু হিংসাত্মক আন্দোলন কখনও কাম্য নয়। যেভাবে জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
কংগ্রেস প্ররোচনা দিচ্ছে
গতকাল ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছিলেন নাগরিত্ব বিল নিয়ে যে হিংসাত্মক আন্দোলন ছড়াচ্ছে তাতে মদত দিচ্ছে কংগ্রেস। তারাই এই আন্দোলনকে হিংসাত্মক রূপ দিয়েছেন। নইলে অসমের বাসিন্দারা শান্তিপূর্ণ পথেই আন্দোলনে নেমেছিলেন বলে অভিযোগ করেন মোদী। গতকাল অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। বৈঠকে অসমের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আন্দোলন দিল্লিতে
গতকাল থেকে দিল্লিতেও শুরু হয়েছে হিংসাত্মক আন্দোলন। দক্ষিণ দিল্লির সব স্কুল কলেজ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আন্দোলনে পথে নামে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তিনটি বাস। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতে। পুলিস আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আজও উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিল্লিতে।