ফের হিংসা যোগীর রাজ্যে, কাসগঞ্জে দোকান-বাসে আগুন
ফের উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সংঘর্ষে মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য করে ফেরার পথে শনিবার শবযাত্রীরা বেশ কিছু দোকান এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ফের উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সংঘর্ষে মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য করে ফেরার পথে শনিবার শবযাত্রীরা বেশ কিছু দোকান এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ঘন্টাঘর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও সংঘর্ষ ছড়িয়েছে। হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় মোটর সাইকেল মিছিল বের করার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তেরঙ্গা যাত্রাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বলে অভিযোগ। ওই মিছিল থেকে আপত্তিজনক স্লোগান দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
এখনও পর্যন্ত ৪৯ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আন্তঃরাজ্য সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। জেলাশাসক আরপি সিং বলেছেন, স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে প্রশাসন। এলাকায় বাড়তি পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের মুখপত্র রাহুল শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, শুক্রবার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় লখনৌ থেকে ৩৪০ কিমি দূরের এই ছোট শহরে। গুলিতে মৃত্যু হয় বছর তেইশের চন্দন গুপ্তার। নৌশাদ নামে অপর এক যুবকের পায়ে গুলির আঘাত লাগে।
মৃতের বাবা সুশীল গুপ্তার দাবি, তাঁর ছেলে কোনও গোষ্ঠীর সঙ্গেই জড়িত ছিলেন না। ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তিনি।
খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে প্রশাসন। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও নিয়ে অভিযুক্তদের সনাক্তকরণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের এডিজি আনন্দ কুমার।
উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী সুরেশ খান্না হিংসার ঘটনার নিন্দা করেছেন।
হিংসার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন ভিএইচপির মহিলা নেত্রী সাধ্বী প্রাচী। শনিবার হিংসা বিধ্বস্ত কাসগঞ্জ যাওয়ার পথে তাকে আটক করে প্রশাসন।