কানপুরে হিংসা , গ্রেফতার ২৯ জন, এফআইআর ১০০০ জনের বিরুদ্ধে
কানপুর পুলিশ শুক্রবার, শহরের প্যারেড চক এলাকায় যে হিংসা ঘটনা ঘটেছিল তার সাথে জড়িত মোট ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে৷ স্থানীয় মুসলিম নেতা হায়াত জাফর হাশমিকে পুলিশ হিংসার পিছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, হায়াত জাফর হাশমি, যিনি মাওলানা মহম্মদ জওহর আলি ফ্যান অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি, একটি টিভি সংবাদ বিতর্কের সময় বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মার নবি মহম্মদ সম্পর্কে করা মন্তব্যের প্রতিবাদে বাজার বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন।
হাশমি জনগণকে উসকানি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে পাথর নিক্ষেপ সহ এবং দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একাধিক পুলিশ সদস্যসহ ৩৯ জন আহত হন। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি ঘটনায় যুক্ত বহু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কানপুর পুলিশ কমিশনারের মতে, "সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (এসডিপিআই) এবং ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিএফআই) সম্পর্কিত নথিগুলিও জাফর হায়াত হাশমির বাড়িতে তল্লাশির সময় পাওয়া গেছে," কমিশনার বলেছেন, "এখন পর্যন্ত সমস্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছবির উপর নির্ভর করে। হিংসার স্থল থেকে ভিডিও প্রমাণ দেখা হয়। সেই অনুযায়ী কাজ হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কোনো শিথিলতা থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
হিংসার জন্য এক হাজারেরও বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর-এ নাম দেওয়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন এহিতশাম কাবাদি, জিশান, আকিব, নিজাম, আজিজুর, আমির জাভেদ, ইমরান কালে এবং ইউসুফ মানসুরি প্রমুখ।
পুলিশ জানিয়েছে, "অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ছয়টি মোবাইল তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব আসামির নাম আমরা পেয়েছি। ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।" বাজার আজ খোলা আছে এবং পুলিশ ক্রমাগত টহল দিচ্ছে।
তদন্তে করে পুলিশ জানিয়েছে, এই ব্যক্তিরা শহরের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইন জারি করা হবে, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনো অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবে না বলে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। বিশুদ্ধভাবে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রমাণ সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর কোনো ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করা হবে। আমরা প্রাদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারি এর ১২টি কোম্পানি এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ৩ টি কোম্পানি পেয়েছি।পিএফআই একই দিনে মণিপুর এবং পশ্চিমবঙ্গে বনধের ডাক দিয়েছিল। একটি সংযোগ তদন্ত করা হচ্ছে৷ লাইভ টিভি৷