বাঙালির পাতে এবার পড়বে ভিয়েতনামের সস্তা মাছ
ষাট-সত্তরের দশকে এই স্লোগানে আকাশ-বাতাস কাঁপাত বাঙালি। বাঙালি ভিয়েতনামকে ভোলেনি! তাই আজও ভিয়েতনাম ভোলেনি বাঙালিকে। উদাহরণ? বাঙালিকে সস্তায় মাছ খাওয়াতে চেন্নাইতে একটি আস্ত মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রই খুলতে চলেছে তারা!
বাঙালি যে মৎস্যপ্রেমী, এ কথা কে না জানে! অথচ বাস্তব হল, বাঙালির পাতে রোজ যা মাছ পড়ে, তার খুব কমই উৎপাদন হয় বাংলায়। সিংহভাগ আসে অন্ধ্রপ্রদেশ আর তামিলনাড়ু থেকে। আর বিদেশি মাছ বলতে, বাংলাদেশের ইলিশ। তা অবশ্য মহার্ঘ। তাই এমন মাছ যদি খাওয়া যায়, যা পুষ্টিমূল্যে ভরপুর আবার দামেও কম, তা হলে! দু'টি শর্তই পূরণ করবে ভিয়েতনামের মাছ। সরাসরি ভিয়েতনাম থেকে রফতানি হলে খরচ বাড়বে, মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। চেন্নাই থেকে বাংলার বাজারে মাছ এলে তা যেমন কম খরচে আনা যাবে, তেমনই সময় কম লাগায় পচনের ভয় কমবে।
কী মাছ উৎপাদন হবে সেখানে? মুম্বইয়ের ভিয়েতনাম কনসুলেট সূত্রে খবর, আপাতত পাঙ্গাসিয়াস মাছ উৎপাদন হবে চেন্নাইতে। আস্তে আস্তে অন্যান্য মাছের চাষও শুরু হবে। চেন্নাই থেকে সড়কপথে সরাসরি মাছ আসবে কলকাতার বাজারে। ভিয়েতনামের মাছ মোটামুটি বছর খানেক পর থেকে কলকাতা তথা বাংলার বাজারে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দু'দেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের অঙ্গ হিসাবেই চেন্নাইতে এই মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র তৈরি করছে ভিয়েতনাম।
প্রসঙ্গত, পাঙ্গাসিয়াস মাছ মূলত প্রোটিন এবং সোডিয়ামে সমৃদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই মাছ খুব জনপ্রিয়। কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম। ওষুধ শিল্পে এই মাছ ব্যবহৃত হয়, কারণ এ থেকে নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়।