নিয়োগ সংক্রান্ত অস্বচ্ছতার অভিযোগ! রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সাসপেন্ড দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
দুর্নীতি সহ একাধিক অস্বচ্ছতার বিষয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল বেশি কিছুদিন আগে থেকেই। অবশেষে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ ত্যাগীকে সাসপেন্ড করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যোগেশ ত্যাগীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসার পর বর্তমানে রাষ্ট্রপতি এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এরকম আচমকা সাসপেনশনের ফলে রীতিমতো চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে শিক্ষা মহলে।

এদিকে রাষ্ট্রপতি পদাধিকারবলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর হিসাবেও রয়েছেন রামনাথ কোবিন্দ। বর্তমানে এই পদাধিকার বলেই যোগেশ ত্যাগীকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছেন তিনি। মঙ্গলবারই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে শিক্ষামন্ত্রকেও পাঠানো হয় বলে জানা যাচ্ছে। তারপরেই নড়েচড়ে বসেন শিক্ষামন্ত্রকের আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই উপাচার্যকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করার যে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া তাও শেষ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য স্বাস্থ্যের কারণেই গত ২ জুলাই থেকে ছুটিতে রয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সেই সময় থেকেই তাঁর কাজ সামলাচ্ছেন সহ-উপাচার্য। এতদিন শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণ ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের তদারকি করতেন যোগেশ ত্যাগী। আর সেখানেই বর্তমানে একাধিক অসঙ্গতি ও অস্বচ্ছতা সামনে আসছে বলে জানা যাচ্ছে।
জুলাইয়ের পর থেকে তার জারি করা সমস্ত নির্দেশিকা ও সিদ্ধান্তও বাতিল করেছেন রাষ্ট্রপতি। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সহ উপাচার্যকে সরিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ করেন উপাচার্য। তারপর থেকেই নতুন করে দানা বাঁধে বিতর্ক। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী কমিটির নিয়োগ নির্দেশিকা উপেক্ষা করে নতুন রেজিস্টারও নিয়োগেরও অভিযোগ ওঠে ভিসির বিরুদ্ধে।যা নিয়ে খুব শীঘ্রই তদন্ত কমিটিও বলবে বলে শোনা যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি।

গত মাসের তুলনায় ৪৫ % সংক্রমণ বৃদ্ধি মার্কিন মুলুকে! বেডের ঘাটতি একাধিক সরকারি হাসপাতালে