অযোধ্যায় প্রস্তাবিত রাম মন্দির কেমন হবে! পরিকল্পনা তৈরি রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে। তিনমাসের মধ্যে প্রকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত করার কথাও জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে। তিনমাসের মধ্যে প্রকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত করার কথাও জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তার অদ্যাবধি পরেই রাম জন্মভূমিতে রামমন্দির কাজ শীঘ্র শুরু করার আহ্বান জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই মর্মে রামমন্দিরের প্রস্তাবিত খসড়াও সামনে এনেছে তারা।
নতুন রামমন্দির খসড়া
রামমন্দিরের অনেকগুলি মানচিত্রকে সামনে রেখে নতুন রামমন্দির নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বেশিরভাগের বিশ্বাস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবিত ওই মানচিত্র মূল রাম মন্দিরের মতো। সেই আদলেই কয়েক বছর ধরে অযোধ্যাতে স্তম্ভ ও দরজাগুলি খোদাই করা হচ্ছে। গর্ভগৃহটির বিশদ বিবরণ রয়েছে সেখানে।
গ্র্যান্ড রাম মন্দিরের চেহারা
ওই গর্ভগৃহেই ভগবান শ্রীরামকে স্থাপন করা হবে এবং পূজা করা হবে। মন্দিরজুড়ে মোট ২১২টি স্তম্ভ থাকবে। দুটি পর্যায়ে ১০৬টি করে স্তম্ভ। এর প্রায় অর্ধেক পিলার প্রস্তুত রয়েছে এবং অর্ধেক খোদাই করার কাজ এখনও বাকি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অনুমোদিত নকশা অনুসারে, ছাদের উপরে একটি ‘শিখর' থাকবে, যা এই পরিকাঠামোকে গ্র্যান্ড রাম মন্দিরের চেহারা দেবে।
কাঠামোটি ১২৮ ফুট উঁচু
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবিত কাঠামোটি ১২৮ ফুট উঁচু হবে। এটি প্রস্থে ১৪০ ফুট এবং দৈর্ঘ্যে ২৭০ ফুট হবে। এই বিশাল কাঠামোটিকে অনন্য করে তুলতে কোনও ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই প্রস্তাবিত রামমন্দিরে ৫টি প্রবেশ পথ থাকবে। সিংহ দ্বার, নৃত্য মণ্ডপ, র্যা ন্ড মণ্ডপ, পূজা ঘর এবং 'গর্ভ গৃহ'। রামলালার মূর্তিটি ওই গর্ভগৃহে রাখা হবে।
১.৭৫ লক্ষ ঘনফুট বেলেপাথর প্রয়োজন
মন্দিরটির সম্পূর্ণ নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১.৭৫ লক্ষ ঘনফুট বেলেপাথরের প্রয়োজন। ১৯৯০-এর প্রথম দিকে এই কাজ শুরুর পর অনেক কিছু করা হয়েছে, কিন্তু আরও বেলেপাথর, আরও খোদাই করা কাজ বাকি। পাথরে খোদাই করা এই মন্দির নির্মাণই এখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লক্ষ্য। সেইমতোই প্রস্তাব রেখেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ।