সন্ন্যাসীনীদের ধর্ষণ খ্রীষ্টীয় সংস্কৃতি, রানাঘাট কাণ্ডে মন্তব্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
নয়াদিল্লি, ১৮ মার্চ: রানাঘাটের সিস্টার গণধর্ষণ কাণ্ডের বিরোধিতায় যেখানে উত্তাল দেশ, সেখানে সাম্প্রদায়িকতার তত্ত্ব উড়িয়ে যে যুক্তি খাঁড়া করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তা শুনলে শিউরে উঠবেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন জানালেন সন্ন্যাসীনীদের যৌন শোষণ খ্রীষ্টীয় সংস্কৃতি, হিন্দুর নয়। রানাঘাটে সিস্টার গণধর্ষণ কাণ্ড : গ্রেপ্তার
৮, সংবাদমাধ্যমের সাহায্য চাইল প্রশাসন
সিস্টার ধর্ষণ কাণ্ড : উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী, দ্রুত রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যের কাছে
রানাঘাটে সিস্টার ধর্ষণের ঘটনায় মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিরোধীরা, উত্তাল সংসদ
শুধু তাই নয়, সোমবার রানাঘাটের সিস্টার ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা না করেই তিনি বলেন, "সিস্টার বা সন্ন্যাসীনীদের যৌন শোষণ করা খ্রীষ্টীয় সংস্কৃতি। আমরা এধরণের কাণ্ড ঘটাই না। পাঁচ বছরে ভ্যাটিকানে ৫০০০ যৌন শোষণের অভিযোগ এসেছে। কারণ পোপের কাছে তাঁদের দাবি ছিল সমকামী যৌনসঙ্গমকে আইনত করা হোক।"
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি হরিয়ানার হিসারে চার্চ ধ্বংস করার ঘটনাকেও সমর্থন করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। নিজেদের সমর্থনে যুক্তি দিতে গিয়ে জৈন বলেন, খ্রীষ্টীয় সম্প্রদায় কী ভ্যাটিকানে হনুমান মন্দির গড়ার অনুমতি দেবে?
শুধু তাই নয়, এক জনপ্রিয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জৈনের দাবি, ১৮৫৭ সালে যে যুদ্ধ হয়েছিল তা আসলে সাম্প্রদায়িক লড়াই ছিল। খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীরা যদি ধর্মান্তরের খেলা বন্ধ না করে তাহলে এরকম আরও অনেক যুদ্ধ হবে বলেও হুমকি দেন তিনি।
উল্লেখ্য বিজেপি নেতা সুহ্মনিয়ম স্বামী একটি মন্তব্য করেছিলেন, ঈশ্বর মসজিদে থাকে না, থাকে মন্দিরে। সেই মন্তব্যকেও এদিন সমর্থন করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সদস্যরা। পরিষদের তরফে বলা হয়েছে, এই মন্তব্যটি সত্যি, এমনকী মুসলিম সম্প্রদায়ও একথা অস্বীকার করতে পারে না। যে কোনও মুসলিমকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন আল্লাহ কী মসজিদে থাকে, উত্তর নেতিবাচকই মিলবে। সৌদি আরবে উন্নয়নের জন্য কত মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে, কই তখন তো কেউ বিরোধিতা করে না, প্রশ্ন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের।