১০২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বরিষ্ঠ অভিনেত্রী জোহরা সেহগল
আরও পড়ুন : বয়স অনেক বেশি তাই জোহরা সেহগলকে ফ্ল্যাট নয়, জানাল কেন্দ্রীয় সরকার
প্রায় আট শতক ধরে বলিউড জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রাণোচ্ছল এই বয়জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রী। শরীরের বয়স বাড়লেও মন থেকে সদা কিশোরি ছিলেন জোহরা সাহগেল। শেষবার তাঁকে চিনি কম এবং সাওয়ারিয়া ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
মেয়ে কিরণ সহেগলের সঙ্গেই তাঁর বাড়িতে থাকতেন জোহরা সহগল। কিরণ সহগল প্রসিদ্ধ ওডিশি নৃত্যশিল্পী। ১৯৯৪ সালে তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। কিন্তু নিজের জীবনী শক্তি দিয়ে ক্যানসারকেও হার মানিয়ে দেন তিনি। বলিউডের বহু ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি হলিউডের ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবার কাপুর পরিবার। ওই পরিবারের পৃথ্বীরাজ কাপুর থেকে রাজ কাপুর এবং ঋষি কাপুর থেকে রণবীর কাপুর ৪ প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করেছেন জোহরা সেহগল। নিজের ২টি ছবিতে জোহরা সেহগলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালী। একটি হাম দিল দে চুকে সনম ও অন্যটি সাওয়ারিয়া। পরে অবশ্য সঞ্জয় বলেছিলেন, ওনাকে 'লাইভওয়্যার' বলাটাও যেন কম বলা হয়। তাঁর এই বয়সেও যা উদ্যম ছিল আমাদের তার কণা ভাগও যদি থাকত জানিয়েছিলেন সঞ্জয়।
চলচ্চিত্র জীবনের কারণে বহু সম্মান ও পুরস্কারও পেয়েছেন জোহরাজি। ১৯৯৮ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছিলেন। ২০০১ সালে পেয়েছিলেন কালিদাস সম্মান পুরস্কার। ২০০৪ সালে সঙ্গীত নাটক অকাদেমী পুরস্কার পান তিনি। ২০১০ সালে পেয়েছিলেন পদ্ম বিভূষণ। সেলুলয়েড হোক বা বাস্তব জীবনে সর্বদে হাসি ও আনন্দ সঞ্চার করেছেন এই প্রাণবন্ত অভিনেত্রী।
"জোহরা সেহগল একবার বলেছিলেন, আমি ঘুমতে যাওয়ার সময় চেষ্টা করি হাসতে। যদি ঘুমের মধ্যে মরে যাই তাহলে যেন মরার পরেও আমার মুখে হাসিটা লেগে থাকে। আর আমায় তোমরা বৈদ্যুতিন চুল্লিতেই জ্বালিও। আর দয়া করে অস্থি নিয়ে এসে গঙ্গা ভাসাতে যেও না, শৌচাগারের 'ফ্ল্যাশআউট' করে দিলেই হবে। আমি চাই আমার মৃত্যুর পরেও আমার নাম শুনলেই সবার মুখে যেন একটা হাসি লেগে থাকে। তাই আমি মরে গেলে কেউ দুঃখ করো না...."