“নতুন আইনের মাধ্যমে দেশে ধর্ষণের বাড়বাড়ন্ত কমানো সম্ভব নয়” : ভেঙ্কাইয়া নাইডু
ধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে নতুন আইন প্রণয়নের জন্য যখন সরব বিরোধীরা, তখন নতুন আইন প্রনয়নকে কোনো সমাধান হিসাবেই মনে করছেন না উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। রবিবার পুনের সিম্বায়োসিস ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের উদ্ধৃতি টেনে তিনি বলেন, "নতুন আইন প্রণয়ন মাধ্যমে দেশের ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মতো ঘটনা কখনোই কমানো সম্ভব না।"

তবে নতুন আইন প্রণয়নের রাস্তায় না হেঁটে বিকল্প রাস্তার কথাও বলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "আমি সর্বদা মনে করি যে সমাজের এই সব নোংরা আবর্জনা দিক গুলিকে সরিয়ে রেখে সবাই-এর নিজেদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা উচিত। আর তার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং প্রশাসনিক দক্ষতা। আর সেসবের জন্য আমাদের সংস্কৃতির শিকড়ে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন।"
প্রসঙ্গত, শনিবার কেরালায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে এক বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, "ধর্ষণের নিরিখে ভারত বিশ্বের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে।” উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের সাথে জড়িত উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কের সম্মন্ধে প্রধানমন্ত্রী এখনও কেন নিশ্চুপ, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাহুল।
রাহুল গান্ধীর ওই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে নাইডু বলেন, "এর ফলে বিদেশের কাছে ভারতের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। দেশ সবার উপরে, তাই আমাদের কখনোই দেশকে অবজ্ঞা করা উচিত না।" তাছাড়া এই ধরণের নৃশংস ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করাও উচিত না বলেন জানান তিনি।
সম্প্রতি তেলেঙ্গানার ২৪ বছর বয়সী পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসারে মহিলাদের মা ও বোনের চোখে দেখা উচিত, কিন্তু সম্প্রতি যা সব ঘটছে তা আমাদের কাছে সত্যিই অত্যন্ত লজ্জাজনক।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের সম্মিলিতভাবে এই ধরণের খারাপ ঘটনার নিন্দা করা উচিত। পাশাপাশি এই ধরণের নোংরা মানসিকতা পরিবর্তন করা অবশ্য প্রয়োজন।" একইসাথে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। আর এটা যে প্রতিটা শিক্ষকের নৈতিক কর্তব্য, সে কথাও এদিন মনে করিয়ে দিতে দেখা যায় তাকে।
'ইংল্যান্ডে ভারতবিরোধী অনুভূতির কোনও স্থান নেই’ : বরিস জনসন