শৈলজার উত্তরসূরি হিসাবে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে বীণা জর্জ, একনজরে তাঁর রাজনৈতিক উত্থান
শৈলজার উত্তরসূরি হিসাবে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে বীণা জর্জ, একনজরে তাঁর রাজনৈতিক উত্থান
আগামী কালই দ্বিতীয়বারের জন্য কেরলের নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন পিনারাই বিজয়ন। এদিকে নজির গড়ে রাজ্যে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরার পরে শুধু মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে রেখে বদলে ফেলা হল গোটা মন্ত্রিসভাই। এমনকী ত বছর করোনা অতিমারী শুরু পরে থেকে রাজ্যে যিনি একার হাতে কোভিড মোকাবিলায় সামনের সারিতে ছিলেন সেই কে কে শৈলজাকেও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শৈলজার জায়গায় কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হচ্ছেন বীণা জর্জ
এদিকে শৈলজার জায়গায় কেরলের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সাংবাদিকতা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বীণা জর্জ। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে বিজয়নের মন্ত্রিসভা থেকে শৈলজার নাম বাদ যাওয়ায় যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়েছে সিপিআইএম। তার পরে এলডিএফের বৈঠক সেরে রাজভবনে ২১ জনের মন্ত্রিসভার তালিকা জমা দিয়েছেন বিজয়ন। মুখ্যমন্ত্রী বাদে মন্ত্রিসভায় সিপিএমের ১১ এবং সিপিআইয়ের ৪ জনই নতুন। দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত মেনেই এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
কেরলের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও সাংবাদিক মন্ত্রীত্বের পদে
এদিকে ৪৪ বছর বয়সী বীণা জর্জ ইতিমধ্যেই সাংবাদিক মহলেও যথেষ্ঠ খ্যাতি কুড়িয়েছেন। বেশ কিছু মালায়ালাম চ্যানেলে সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কাজ করে নিজের পরিচিতিও গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে প্রথম বার রাজ্যের আরানমুলা কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন। এবারেও এই কেন্দ্র থেকেই জয়ের স্বাদ পান তিনি। এবারে তাঁর জয়ের ব্যবধান রয়েছে ১৯ হাজার ৩ ভোট। প্রসঙ্গত উল্লেথ্য বিতর্কিত তীর্থক্ষেত্র শবরীমালা যে জেলায়, সেই পতনমতিট্টা জেলাতেই ছিল বীণার নির্বাচনী কেন্দ্র।
শৈলজার উত্তরসূরি হিসাবে কতটা সাফল্য পাবেন বীণা ?
যদিও প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী শশীকলা আবার তাঁর কেন্দ্রে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে বসে শশীকলার উত্তরসূরি হিসাবে বীঁণা কেমন দক্ষ হাতে কাজ সামলান সেই প্রশ্নই উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সকলের মনে।এদিকে কেরলের ইতিহাসে এই প্রথম বার সাংবাদিকতার পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া কাউকে মন্ত্রী করা হচ্ছে।
ছাত্র ফেডারেশনের হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি
এদিকে সাংবাদিকতায় যোগ দেওয়ার আগে সিপিএময়ের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-র হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি বীণার। সেই সময়ে একাধিক ছাত্র অন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন তিনি। পরবর্তীতে পেশা হিসাবে সাংবাদিকতাকে বেছে নিলেও বরাবরই নিজের বাম পরিচিতি প্রকাশে কখনও রাখঢাক করেননি তিনি। এদিকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতোকত্তর করার পর বিএড-ও করেন বীণা। তার স্বামী বর্তমানে একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক! নারদ মামলার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল মামলা
ছবি সৌজন্য: টুইটার/ সিপিআই (এম)