কর্মসংস্থানের দাবিতে মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বরুণ গান্ধী
কর্মসংস্থানের দাবিতে মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বরুণ গান্ধী
উত্তর প্রদেশে ভোটের মুখে ফের বিজেপিকে নিশানা বরুণ গান্ধীর। উত্তর প্রদেশে কর্মসংস্থানের দাবিতে মোমবাতি মিছিল করছিলেন যুবকরা। তার উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি সাংসদ বরুন গান্ধী। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন ভোট যদি করোনার জন্য আটকাতে না পারে তাহলে কেন কর্মসংস্থান আটকাবে। পিলবিটের সাংসদ প্রকাশ্যেইএই নিয়ে যোগী সরকারকে নিশানা করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বরুণ গান্ধীর এই মন্তব্যের পরেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
এর আগে লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়েও যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই সরব হয়েছিলেন বরুন গান্ধী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গ্রেফতারি দাবি করে যোগীকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। এমনকী মোদী সরকারের কৃষি আইনের সমালোচনা করে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করার পর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা বলেছিলেন তিনি।এমনকী মোদী সরকার আগে এই আইন প্রত্যাহার করলে ৭০০ কৃষকের প্রাণ যেত না বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন কৃষক বিক্ষোভ চলাকালীন কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কৃষ বিক্ষোভ নিয়ে প্রকাশ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় বিজেপির এগজিকিউটিভ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বরুন গান্ধী এবং মানেকা গান্ধীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের সময় বরুন গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও তা ঘটেনি। তবে বরুণ গান্ধীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে যেভাবে একের পর এক বিতর্কতি মন্তব্য তিনি দলের বিরুদ্ধে করে চলেছেন তাতে ২০২৪-র লোকসভা ভোটে তাঁকে বিজেপি আর টিকিট দেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
উত্তর প্রদেশের বিধানসভা ভোট নিয়ে একটু বেশি মাত্রায় তৎপর মোদী সরকার। সেকারণেই কৃষি আইন প্রত্যাহার করার মত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এবং সেটা কার্যকর করতে বিলম্ব করেনি তারা। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতেই তৎপর হয়ে কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব দুই কক্ষে পাস করিয়ে সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পেলেই কৃষি আইন বাতিল হয়ে যাবে। কাজেই ভোটের কথা ভেবেই েয মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই নিয়ে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন। আলোচনা ছাড়াই কেন কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব পাস করানো হল তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।