আদালতের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে আনা যাবে না কোনও ছবি, জ্ঞানবাপী কাণ্ডে কড়া নির্দেশ বারাণসী কোর্টের
আদালতের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে আনা যাবে না কোনও ছবি, জ্ঞানবাপী কাণ্ডে কড়া নির্দেশ বারাণসী কোর্টের
জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল বারাণসী হাইকোর্ট। মসজিদের কোনো ছবি আদালতের নির্দেশ ছাড়া প্রকাশ করা যাবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জ্ঞানবাপী মসজিদে মন্দিরের অস্তিত্ব নিয়ে মামলা চলছে। ইতিমধ্যেই আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে আদালতের নির্দেশে ভিডিও গ্রাফির মাধ্যমে সার্ভে হয়েছে। তাতে হিন্দু স্থাপত্যের একাধিক নিদর্শন মিলেছে মসজিদের ভেতরে। এই নিয়ে টানা পোড়েন চলছে বারণসীতে।
যাতে কোনো রকম অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় সেকারণেই বারাণসীতে আদালত কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, কোনো ভাবেই যেন মসজিদের ছবি প্রকাশ্যে না আসে। আদালতের অনুমতি নিয়ে তবেই প্রকাশ করা যাবে জ্ঞাপবাপী মসজিদের ছবি। কড়া নির্দেশ দিেয়ছে আদালত। গতকাল অর্থাৎ ৩০ মে ঘটনাটি নিয়ে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েেছ। তাতে বলা হয়েছে অত্যন্ত স্পর্শ কাতর বিষয়টি। এই মসজিদের বিভিন্ন ছবি রাজনৈিতক দলগুলি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে। তাতে দেশের সম্প্রীতির বাতাবরণ নষ্ঠ হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল আদালতে।
কাজেই আদালত এই নিয়ে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, আদালতের আগাম অনুমতি ছাড়া কেউ জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিওগ্রাফি বা ছবি প্রকাশ করতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন রকম ভাবে এগুলি প্রকাশ করা হলে তার অপরাধ যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সংগঠনকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মামলাকারী চারটি মহিলা সংগঠন আদালতের কাছে দাবি করেছিলেন জ্ঞানবাপী মসজিদের ছবি এবং ভিডিওগুলি যেন তাঁরা হাতে পান। তারপরেই এই িনর্দেশ দিয়েছে আদালত
সুখবর, দেশে ১০৩ শতাংশ বর্ষার পূর্বাভাস মৌসম ভবনের
এদিকে জ্ঞাপবাপী মসজিদের ঘটনার পরেই একে একে তাজমহল নিয়ে সরব হয়েছেন হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা দাবি করেছেন তাজমহলের নীচে মন্দির ছিল সেগুলি ভেঙে তৈরি করা হয়েছে সেটি। অন্যদিকে আবার আজমেড় শরিফ নিয়ে রানাপ্রতাপ হিন্দু সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সেখানে হিন্দুদের মন্দির ছিল। আজমেড় শরিফের ভেতরে স্বস্তিক চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে। যদি তাঁদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে আজমেঢ় শরিফের কর্মকর্তারা।