বারানসী সেতু দুর্ঘটনা, পাঁচটি চিঠি-এফআইআর-এও টনক নড়েনি এদের
ইউ.পি.এস.বি.সি.-কে আগে সতর্ক করা হয়েছিল,বারাণসীর সেতুর বিপদ নিয়ে পুলিশ সতর্ক করেছিল, বারাণসী সেতু দুর্ঘটনা মামলা
পুলিশ বলছে, গত নভেম্বর থেকে পাঠানো হয়েছিল পাঁচ-পাঁচটি চিঠি, তাতেও টনক না নড়ায় এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়ের করা হয় এইআইআর-ও। তাতেও কোনও কাজ হয়নি। হলে হতভাগ্য ১৮টা প্রাণ হয়তো বেঁচে যেত। আর সেতু কর্পোরেশনের কর্তাদের ইঙ্গিত ট্রাফিক পুলিশে ও প্রশাসনিক কর্তাদের দিকে। বারানসীর নির্মিয়মাণ ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার ঘটনায় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের খেলা চলছেই।
পুলিশের অভিযোগ, নির্মাণের সময় ট্র্যাফিক নিরাপত্তার বিধান মানা হত না। এই কথা জানিয়ে সতর্ক করার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আইজি দীপক রতন জানিয়েছেন, 'আমরা গত নভেম্বর থেকে সেতু কর্পোরেশনকে পাঁচটি চিঠি দিয়েছি। নির্মাণ কাজ চলাকালীন নিরাপদ ট্র্যাফিকের বিধান যাতে মেনে চলা হয় তার জন্য অনুরোধ করছি। সাধারণ, ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলাকালীন সেফ ট্রাফিক রেগুলেশনের জন্য তাদের নিজেদের কর্মীদেরই নিয়োগ করার কথা, সাহায্য লাগলে পুলিশকে অনুরোধ করতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশ তাদের সম্ভাব্য সমস্যাগুলো নিয়ে সতর্ক করেছে এবং তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।'
বুধবার, দুর্ঘটনার পর ইউপিএসবিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড, অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের প্রচেষ্টা এবং পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারায় অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের সুপারভাইজিং অফিসিয়াল, কন্ট্রাকটর, এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে। সিগরা থানার এফআইআরটি নিবন্ধিত হয়েছে। তার আগে মঙ্গলবার রাতেই উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য চিফ প্রোজেক্ট ম্যানেজার এইচ সি তিওয়ারী, প্রোজেক্ট ম্যানেজার কে আর সুদান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ সিং এবং ইঞ্জিনিয়ার লাল চাঁদকে সাসপেন্ড করেন।
তবে ইউপিএসবিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজন মিত্তলের অভিযোগ তির পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, তদন্তের জন্য তাঁরা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও নির্মাণের সময় ট্রাফিক পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।