কোভিশিল্ডের দুই টিকার ডোজের ব্যবধান কমছে না, সাফ করল কেন্দ্র
ভরে উঠছে টিকার ভাঁড়ার, শীঘ্রই কমতে পারে কোভিশিল্ডের দুই টিকার ডোজের ব্যবধান
কয়েকদিক আগেই টিকার জোগান নিয়ে বড়সড় উদ্বেগ দেখা গিয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। বর্তমানে খানিকটা হলেও থিতু হয়েছে সেই আশঙ্কা। এদিকে প্রথম দফার টিকা নীতিতে কয়েকদিন আগেই বড় বদল আনে কেন্দ্র সরকার। এমনকী কোভ্যাক্সিনের টিকার ব্যবধান ২৮ দিন থেকে বাড়িয়ে ৪২ দিন করা হলেও কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে তা এক ধাক্কায় বেড়ে হয় ৮৪ দিন। এবার তাতেই খানিকটা ছাড় দেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু করছে কেন্দ্র সরকার। এমনটাই শোনা গিয়েছিল। তবে সরকারের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান কমানো হচ্ছে না।
কি বলছে সরকার
সূত্রের খবর, ব্রিটেনের একটি রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সেই সময়ে জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের দাবি বিশেষজ্ঞদের মত নিয়েই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে এর আগে গোটা দেশে ডেল্টার দাপাদাপি শুরু হতেই বাড়ে উদ্বেগ। অনেকে বিশেষজ্ঞই দাবি করেন করোনা টিকার দুটি ডোজের ব্যবধান বাড়ালে মিলবে সুফল। এদিকে গত জানুয়ারি মাসে দেশে টিকাকরণ চালু হওয়ার পর কোভিশিল্ডের দু'টি টিকার মধ্যে সময়ের ব্যবধান চার থেকে ছয় সপ্তাহ স্থির হয়েছিল।
তিন দফায় বেড়েছে ব্যবধান
যদিও পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও এই সিদ্ধান্তও বেশিদিন স্থির থাকেনি। আচমকাই গত মে-তে ওই ব্যবধান বাড়িয়ে করা হয় ১২-১৬ সপ্তাহ। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও কেন্দ্রের দাবি ছিল দীর্ঘায়িত ব্যবধানে টিকা নিলেই মিলছে অধিক সুফল, এই নিয়ে অযথা আতঙ্কের কিছু নেই। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি ছিল ভাঁড়ারে টিকার জোগান না দিতে পারার কারনেই ভিন্ন যুক্তি দিচ্ছে কেন্দ্র। যদিও তা মানেনি মোদী সরকার।
কি বলছেন ভাইরাসবিদেরা
কিন্তু বর্তমানে স্পষ্টতই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে টিকার সঙ্কট খানিক মিটতেই কোভিশিল্ডের ব্যবধান কমাতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। যদিও এই প্রসঙ্গে মার্কিন ভাইরাসবিদ অ্যান্টোনিও ফৌসির মত, সময়ের দাবি মেনেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত সরকার। এছাড়া তাদের হাতে আর কোনও উপায় খোলা ছিল না। সঙ্কটকালে যাতে দ্রুত সকলে কমপক্ষে সকলে একটি করে টিকার ডোজ পান তা নিশ্চিত করাই ছিল সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
একনজরে ভারতের টিকা আগ্রাসন
এদিকে ভারতের মতো একই রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায় আরও একাদিক দেশকে। বড় জনসংখ্যার কমবেশি প্রচিটা দেশই বাড়ে ডোজের ব্যবধান। এদিকে ইতিমধ্যেই ভারত ৬০ কোটি টিকাকরণের মাইলস্টোন পেরিয়ে গিয়েছে। করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ মানুষ। সেকানে করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন ১০.৩ শতাংশ মানুষ।