টিকা নেওয়ার হিড়িকে 'ক্র্যাশ' কো-উইন পরিষেবা, রেজিস্ট্রেশনে সফল হলেও মিলছে না টিকাকরণ কেন্দ্র
টিকা সঙ্কট! একদিনে কো-উইনে নাম নথিভুক্ত করলেন ১.৩৩ কোটি মানুষ
দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমত নাকানিচোবানি খাচ্ছে দেশের স্বাস্থ্যকাঠামো, তার থেকে রেহাই পেতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে। আগামী পয়লা মে থেকে টিকাকরণ হবে দেশের ১৮ বছরের উর্দ্ধের নাগরিকদের। গত বুধবার বিকেল ৪টে থেকে এই মর্মে শুরু হয় কো-উইন প্ল্যাটফর্মে নাম নথিকরণ। যদিও প্রতি মিনিটে প্রায় ২৭ লক্ষ নামের হিড়িক সামলাতে গিয়ে প্রথম ক'মিনিটের মধ্যেই ধাক্কা খায় কো-উইন পরিষেবা!
জোর কদমে তৃতীয় পর্যায়ের তোড়জোড়, ভ্যাকসিন মিলবে কী?
আগের দুই পর্যায়ের চেয়েও অনেক দ্রুত ও কৌশলগতভাবে টিকাকরণের লক্ষ্যে এগোছে কেন্দ্র। যদিও ভারতের মত বৃহৎ দেশের ১৮-৪৪ বছর বয়সী নাগরিকদের একেবারে টিকা দেওয়ার ভাবনা যে কতটা যুক্তিযুক্ত, সে বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞমহল। সরকারি সূত্রে খবর, নাম রেজিস্ট্রেশনের পর রাজ্য ও বেসরকারি টিকা কেন্দ্রগুলির সময় স্লট অনুযায়ী টিকা পাবেন নাগরিকরা। এদিকে প্রথম দিন ১.৩৩ কোটি মানুষ নাম নথিভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশন হলেও টিকাকরণ কেন্দ্র জানতে পারেনি সিংহভাগ মানুষ।
নাম লেখাননি? জেনে নিন নাম রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি
প্রথম দফায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে কো-উইনের বিরূপ আচরণে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। যদিও এই পর্যায়ে যে অনলাইনেই নাম রেজিস্টার করতে হবে নাগরিকদের, সে বিষয়ে সরাসরি জানিয়েছে কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই কো-উইন পোর্টালের 'গ্লিচ'-র কারণে নাম লেখাতে পারেননি অনেকেই। তাঁদের https://www.cowin.gov.in/home - ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
কো-উইন সার্ভারের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে
এ'বারের সংক্রমণে আগের চেয়েও অনেক দাপুটে করোনা। স্বভাবতই গতকাল বিকেল ৪টায় রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন নির্দিষ্ট বয়সের নাগরিকরা। যদিও সার্ভারে সমস্যার জন্য রেজিস্ট্রেশন হয়নি অনেকেরই। সরকারি কোভিড প্রতিরোধী অ্যাপ আরোগ্য সেতু'র তরফে জানান হয় যে কো-উইনের সমস্যা প্রতিহত করা গেছে। টিকাকরণের জন্য পরে নাম নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে, জানান নাগরিকদের একাংশ।
করোনা টিকাকরণে দেশের জিডিপির কত শতাংশ খরচ হচ্ছে? কতটা চাপ পড়ছে রাজ্যগুলির উপর?
৩.৬ লাখের কোভিড বিস্ফোরণে দিশেহারা ভারত
ইতিপূর্বে স্বাস্থ্যকর্মী ও কোভিডযোদ্ধা সহ ৪৫ বছরের উর্দ্ধের নাগরিকদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু যত দিন এগিয়েছে, ততই জটিল হয়েছে করোনা পরিস্থিতি। স্বভাবতই ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ও সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের পাশাপাশি রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-কেও ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। ভারতের মত বৃহৎ দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা সফল হবে দেশের স্বাস্থ্যকাঠামো, সে প্রশ্ন কিন্তু প্রবলভাবে বিদ্যমান এখনও।